রামগড় প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির গুইমারায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের এক নেতার মৃত্যুর পর রাস্তা ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে আতংকে রয়েছেন সড়কে যাতায়াতকারীরা।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে গুইমারায় প্রতিপক্ষের গুলিতে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের গুইমারা শাখার আঞ্চলিক কালেক্টর অংথোই মারমা ওরফে আগুন (৫২) নিহতের ঘটনার জের ধরে জেলার রামগড় ও গুইমারা উপজেলা বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ সমর্থিতরা।
জানা গেছে, গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি ব্রিজের উপর সড়কে আগুন দিয়ে মালবাহী একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় তাদের তান্ডবে জোড়া ব্রিজের দুপাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। একই সময়ে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের রামগড় দাতারামপাড়া রাস্তার মাথা এলাকায় মুরগির খাদ্যবাহী চট্টমেট্রো ট- ১১-৬৮১৫ নাম্বারের একটি
ট্রাকে আগুন দেয় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা এবং মারধর করা হয় গাড়ির চালককে।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান ও গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, আজ সকালে দিকে গুইমারা উপজেলার দেওয়ানপাড়া সংলগ্ন মিশন টিলা এলাকার রাস্তার উপরে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপ) কালেক্টর অংথোয়াই মারমা ওরফে আগুন (৫২) গুলিতে নিহত হয়।
ঘটনাস্থলে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি পিস্তল, ম্যাগজিন ও কয়েক রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের সশস্ত্র কালেক্টর ছিলেন নিহত আগুন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সংগঠনটির গুইমারা ইউনিটের দায়িত্ব পালন করছিলেন।