মামলার এজাহারে বলা হয়, মাধবপুর উপজেলার এক গ্রামের ওই তরুণীকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে সৌদি আরবে পাঠায় ঢাকার আরামবাগ এলাকায় অবস্থিত শান ওভারসিস নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি। ওই তরুণী সেখানে যাওয়ার পর তাঁকে রিয়াদে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আমতলী এলাকার বাসিন্দা কাশেম মিয়া ওই তরুণীকে ও তাঁর পরিবারকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার শান ওভারসিসের মাধ্যমে সৌদি আরব পাঠিয়েছিলেন।
বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে দালাল চক্র ওই তরুণীর বয়স কমানো, ঠিকানা পরিবর্তনসহ নানা প্রতারণার আশ্রয় নেয়। পাশাপাশি তাঁকে গৃহকর্মীর ভিসায় না নিয়ে ভিজিট ভিসায় সেখানে পাঠানো হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, গতকাল শনিবার ভোর চারটায় ওই তরুণী দেশে আসেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে আনতে বিমানবন্দরে যান। তাঁদের সঙ্গে বাড়িতে ফেরার সময় দালাল কাশেমসহ ৮ থেকে ১০ জন লোক তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিমানবন্দর পুলিশের সহযোগিতায় তিনি রক্ষা পান। তবে ওই তরুণী অসুস্থ থাকায় বর্তমানে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
ওই তরুণী বলেন, তাঁকে সৌদিতে এক সপ্তাহ একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। যে কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন বিশ্রাম নিতে চান।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক মানিক মিয়া জানান, এ ঘটনায় আজ সকালে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছেন। এ মামলার তদন্ত দায়িত্ব তিনি নিজেই পেয়েছেন। মামলার আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা হচ্ছে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে জানান, আগামীকাল সোমবার আদালতে কাশেমের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এ বিষয়ে গত বুধবার ও গতকাল রোববার প্রথম আলোতে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।