সাতক্ষীরা বড় বাজারে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম। বেশির ভাগ সবজির কেজিতে ১০-২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে কিছুটা স্বস্তিতে ক্রেতারা। তবে সবজি উৎপাদনে খরচ কিছুটা বেশি হওয়ায় সঠিক দাম পাচ্ছেন না বলে দাবি চাষিদের।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের আড়তগুলোতে আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রচুর শীতকালীন সবজি এসেছে। পাইকারি ক্রেতা কম থাকায় খুচরা বাজারে বেশ কম দামেই বিক্রি হয়েছে এসব সবজি।
এ বাজারে সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলাসহ যশোর, ঝিনাইদাহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক ভর্তি করে সবজি নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা। জেলার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এ বাজার থেকে সবজি কেনেন।
মঙ্গলবার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, বেগুন ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০ থেকে ২৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, ফুলকপি ৪৫ টাকা (প্রতি কেজি), বাঁধাকপি ৪০ টাকা (প্রতি কেজি), শিম ৪০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
আগের চেয়ে কিছুটা কম দামে টাটকা সবজি কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ভোক্তারা। বাজারে সবজি কিনতে আসা রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, মৌসুমের শুরুতে শীতকালীন শাকসবজির দাম চড়া ছিল। আজ সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
তবে এই দামে সবজি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। ঝিনাইদাহ থেকে ফুঁলকপি বিক্রি করতে আসা ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, কিছুদিন আগেও সাতক্ষীরার বাজারে ৭০ টাকা দরে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হয়েছে। আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। পরিবহন খরচ দিয়ে এতদূর থেকে সবজি এনে দাম দেখে হতাশ হলাম।
এদিকে, সুলতানপুর বড় বাজারের আড়তদাররা বলছেন, হঠাৎ করে বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। শুরুতে দাম ভালো পেলেও হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লোকসানের শঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া বাজারে ক্রেতাও অনেক কম।
সাতক্ষীরা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু জাগো নিউজকে বলেন, সুলতানপুর বড়বাজারে ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পাইকারি কেনাবেচা চলে। এরপর সারাদিন খুচরা বাজার শুরু হয়। গত সপ্তাহ আগেও এই বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশি ছিল। তবে বাজারে শীতকালীন সবজির আসার পর থেকে দাম কমতে শুরু করেছে।