জাতীয় পার্টির (জাপা) সব পদ-পদবি থেকে কেন তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তার কারণ জানতে চেয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে রংপুরে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
রাঙ্গা বলেন, ‘আমি দুইবার পার্টির মহাসচিব ছিলাম। একবার এরশাদের সময়, আরেকবার জিএম কাদেরের সময়। দলের কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। তবে কোনো কিছু না বলেই হঠাৎ আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জিএম কাদেরের সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব হচ্ছে না। উনি দ্বন্দ্ব করে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এমনকী প্রাথমিক সদস্য পদ পর্যন্ত বাতিল করেছেন। তবে তার কোনো কারণ এখন পর্যন্ত উনি জানাননি। আমি জানতে চাই উনি কেন এমনটা করেছেন।’
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যাওয়ার পর দলটি দুই ভাগ হয়েছিল। আমি তখন মহাসচিব ছিলাম। রওশন এরশাদ এবং জিএম কাদের দুজনেরই মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু আমি দলকে ভাঙতে দেইনি।’
জাতীয় পার্টিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে গণ্ডগোল চলছে। নির্বাচন এলে এটি জাতীয় পার্টিতে শুরু হয়। রওশন এরশাদ দেশে এলে দেবর-ভাবির সম্পর্ক যেমন ঠিক হবে, তেমনি দলের সব গণ্ডগোল ঠিক হয়ে যাবে।’
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিষয়ে রাঙ্গা বলেন, ‘নির্বাচনে মেয়র পদে কে কাকে প্রার্থী দিলো বলতে পারবো না, তবে মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করা আছে। রওশন এরশাদ এলে তা প্রকাশ করা হবে।’
তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাউকে মনোনয়ন দিতে পারেন না। যদি দিয়ে থাকেন তাহলে সেটা সঠিক হবে না। গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেবেন।
এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশনে যাকে লাঙল প্রতীক দেওয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান রাঙ্গা।