কৃষি পণ্য উৎপাদন ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোক্তাদের বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যানডিথ মাশেগো দেলামিনির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্য, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। একক বাজার নির্ভরতা কমিয়ে বাজার বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
পাশাপাশি বস্ত্র শিল্পেও দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বিদ্যমান বাজার সুবিধা পাবে না বাংলাদেশি তৈরি পোশাক। গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে দেশে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন (ভ্যালু অ্যাডিশন) বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য দেশেই বস্ত্র শিল্পের কাঁচামালের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
এছাড়া বৈঠকে ওষুধ, চামড়া, পাট, আইসিটিসহ বেশকিছু সম্ভাবনাময় খাতের কথা তুলে ধরেন মো. জসিম উদ্দিন। দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি, বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদেরও বিদেশে বিনিয়োগের সক্ষমতা এবং আগ্রহের কথা জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্যানডিথ মাশেগো দেলামিনি। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচুর পরিমাণে কৃষি জমি রয়েছে। সেখানে উৎপাদিত সবজি এবং ভুট্টা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। এসব পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণের সুযোগ রয়েছে উভয় দেশের।
এ সময় বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে উভয় দেশের উদ্যোক্তা এবং বাণিজ্য সংগঠনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।