বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, অথচ সামান্য ব্যথা হলেও সিঙ্গাপুর যাওয়া এখন ফ্যাশন হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সর্দি-কাশি হলে আমরা ডাক্তারের কাছে চলে যাই। সামান্য পেট ব্যথায় আমরা সিঙ্গাপুর চলে যাই। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। তারা যেন ভালো চিকিৎসা সেবা পায়। এ জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাতে শুধু সরকার নয়, সবার এগিয়ে আসা দরকার বলে মনে করেন মন্ত্রী।
শনিবার (৩ ডিসম্বের) চট্টগ্রামে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে শেখ হাসিনা সরকার। অথচ এর আগের অন্য কোনো সরকারই এতটা সংবেদনশীলতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি নজর দেয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। অনেক বছর এটি বাক্সবন্দি ছিল। পরে ২০০৯ সালে আবার এ সেবা চালু হয়।
হাসপাতাল পর্ষদ সদস্য ও দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. প্রতাপ কুমার রেড্ডি ও কো-চেয়ারম্যান ডা. প্রীতা রেড্ডি। বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, দীনেশ মাধবান, অ্যাপোলো পার্টনার হসপিটালের সিইও দেবীসন পিকে, সাংবাদিক আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
এদিকে, অ্যাপোলোর সঙ্গে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চুক্তি হওয়ায় দেশে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়বে বলে মনে করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। তিনি বলেন, টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পরিবেশের পাশাপাশি সেবার মানের উন্নয়ন দরকার। যার সবকিছুই এ হাসপাতালে আছে। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে নার্সিং কলেজের পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হলে সেবা নিতে আসা রোগীরা আরও ভালো সেবা পাবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারবো বলে আশা রাখি। এই চুক্তির মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের আদলে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে যৌথভাবে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা সেবা ও পরবর্তী ফলোআপ নেওয়া সম্ভব। এর ফলে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার কষ্ট, অর্থ এবং সময় সাশ্রয় হবে।