বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিনবাজারে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নসহ অনেক নেতাকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরও তাদের কোনো খোঁজ দেয়নি।
কোথায় রাখা হয়েছে পরিবারের কাছে হাজির করার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।
রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অনিবার্য পতন ঠেকাতে এই মাফিয়া সরকার জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। কি যে করবে তার দিশা পাচ্ছে না। রক্তচোখের আগুনমাখা গণমানুষের বজ্রনিনাদে ভয়-আতঙ্কে থর থর করে কাঁপছেন অবৈধ সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা। মনে হয় তারা চোখে সরষে ফুল দেখছেন। সারা দেশে বিএনপির গণসমাবেশগুলোতে ঘর-দুয়ার ছেড়ে আসা ভয়হীন মানুষের অভাবনীয় প্লাবন অবলোকন করে নিপীড়ক শেখ হাসিনা এখন ভয়ঙ্কর ও সন্ত্রস্ত।
তিনি বলেন, সর্বাধিক জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রীর ওপর নির্যাতনের আরেকটি নতুনমাত্রা। এমনিতেই বন্দি করে রাখা হয়েছে, তার পর একের পর এক বন্দিত্বের ঘেরাটোপে তাকে আরও কঠোরভাবে বন্দি করে রাখার পাঁয়তারা চলছে।
রিজভী বলেন, এক মারাত্মক হিংসাশ্রয়ী প্রতিশোধে নেমেছে আওয়ামী সরকার। ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের জনসমাবেশকে বানচাল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্তর্ঘাতমূলক কাজে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কর্তৃত্ববাদী সরকারের সিংহাসন নড়ে উঠাতে ওরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, টাকা পাচার ও ভূমিদখলের মতো অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। কারণ অবৈধভাবে অর্থভিত্তের মালিক হওয়ায় ওরা আগামী দিনের বিচারের হাত থেকে বাঁচতেই ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। তাই ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশকে শেখ হাসিনা নিরাপদ মনে করছে না। র্যাব-পুলিশকে দিয়ে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ধ্বংসের কাজ করেছেন। তাই তারা এখন পুতুল হিসেবে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য বেপরোয়া অভিযানে নেমেছে।
এ সময় খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে চেকপোস্ট ও ব্যারিকেড বসানোয় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সেগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী।