আরিফুলের চাচা আসলাম সরকার বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজারহাতা এলাকায় রাস্তায় গাড়ি রাখা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর ওই যুবকেরা রটিয়ে দেন যে তিনি আওয়ামী লীগকে গালিগালাজ করেছেন। এ কথা শুনে ওই দিন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান তাঁর ভাতিজা আরিফুলকে মারতে এসেছিলেন। তবে আরিফুল ওই সময় সেখানে ছিলেন না। গতকাল রাত ১০টার দিকে আরিফুলকে একা পেয়ে রাজীব তাঁর দলবল নিয়ে এসে তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকান। একপর্যায়ে তাঁরা আরিফুলের ঊরুতে গুলি করে পালিয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাজীব হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এর আগে রাজীব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরিফুল মাদকের ব্যবসা করেন। মাদকের ব্যবসা নিয়েই তাঁর পার্টনারদের (ব্যবসায়ী অংশীদার) সঙ্গে গণ্ডগোল হচ্ছিল। পার্টনারই গুলি করেছে বলে শুনলাম।’
এই বিষয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আসলেই গুলি হয়েছে কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। রাজীব হাসান গুলি করেছেন বলে আরিফুলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু আরিফুলের পরিবার এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।
ওসি মাজহারুল আরও বলেন, বলা হচ্ছে যে আরিফুল যুবদল করেন। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, আরিফুল কোনো রাজনীতি করেন না। তবে এ বিষয়ে আরিফুলের চাচা আসলাম বলেন, তাঁর ভাতিজা একসময় রাজশাহী সিটি কলেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন তিনি যুবদল করেন। তবে কমিটি না হওয়ার কারণে আরিফুলের কোনো পদ নেই।