মঙ্গলবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২১টি বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এলাকায় হানা দেয়। এর মধ্যে ১৮টি পারমাণবিক সক্ষমতার এইচ–৬ বোমারু বিমান ছিল। এইচ-৬ চীনের দূরপাল্লার বোমারু বিমান, যা পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আকাশসীমা লঙ্ঘনসংক্রান্ত তথ্য রাখছে তাইপে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বেশি বোমারু বিমান মহড়ার ঘটনা।
এর আগে তাইওয়ানের খাদ্য, পানীয়, অ্যালকোহল ও মৎস্য পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় চীন। এ ঘটনাকে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং–চ্যাং তাইওয়ানের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চীনের পক্ষ থেকে কখনো একসঙ্গে পাঁচটির বেশি বোমারু বিমান পাঠানো হয় না। কিন্তু সম্প্রতি এই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সর্বেশষ ১৬টি এইচ–৬ বোমারু বিমান একসঙ্গে পাঠানো হয়েছিল।
দ্য গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ ইয়ু বলেছেন, বছরজুড়ে সামরিক হুমকি ও রেকর্ড অনুপ্রবেশের ঘটনার পর এই দ্বীপে ভবিষ্যৎ আক্রমণের অজুহাত খুঁজছে বেইজিং। তিনি আরও বলেন, সি চিন পিং তৃতীয় মেয়াদে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর বেইজিংয়ের সঙ্গে তাইপের যোগাযোগ আরও কমতে পারে।
তাইপেতে গার্ডিয়ান–এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে ইয়ু বলেন, ২০২০ সাল থেকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চলে যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ পাঁচ গুণ বেড়েছে। এ সময় চীনা সামরিক হুমকি আগের চেয়ে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।
তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের উত্তেজনা কতটা গড়াবে

চীন–যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা
চীনের গ্লোবাল টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা হেবেই প্রদেশে দুই দিনের বৈঠক করেছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার জানিয়েছে, তাদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের পথ খোলা রাখার বিষয়ে সম্মতি জানানো হয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বজায় থাকলে তা বিশ্বের জন্য সুবিধা হবে। গ্লোবাল টাইমস আরও জানিয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকে তাইওয়ানের বিষয়টি আরও ভালোভাবে সামলানোর কথাও উঠে এসেছে।
চীন-তাইওয়ান বৈরিতার শুরু যেখান থেকে

বৈঠকে বসছেন পুতিন–সি
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বৈঠক করতে যাচ্ছেন। দুই নেতা চলতি মাসের শেষ দিকে বৈঠক করবেন। বৈঠকে তাঁরা ২০২২ সালের ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করবেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বৈঠকের তারিখ ও আলোচ্যসূচি ইতিমধ্যে ঠিক করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পরে আসবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। বিশেষ করে এই অভিযান শুরুর পর সম্পর্কের দিক দিয়ে চীনের আরও কাছাকাছি এসেছে রাশিয়া।