হংকংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং কানাডা থেকে মাস্টার্স পাশ করেও চীনে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন ঝেং সিহান। করোনা মোকাবিলায় জিরো-
কোভিড নীতির কারণে সম্প্রতি দেশটিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বেকারত্ব, ধস নেমেছে চাকরির বাজারে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গণমাধ্যমটি বলছে, বর্তমানে চীনের ১৬-২৪ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১৭% এর বেশি। চাকরি না পেয়ে কায়িক শ্রমের কাজে যোগ দিচ্ছেন অনেক তরুণ।
চাকরিপ্রত্যাশী ঝেং সিহান বলেন, ‘অনার্স পাশ করার পর কোনো কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাইনি। তাই মাস্টার্সও করলাম। এখনো কোনো চাকরি পাচ্ছি না। দিন দিন চাকরি পাওয়া হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো হয়ে যাচ্ছে।’
লিংকডইনের এক প্রতিবেদন বলছে, করোনা মহামারির সময় বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন বহু শিক্ষার্থী। যার ফলে বেকারদের সংখ্যা আরও বেড়েছে। শুধু ২০২১ সালেই দেশটিতে বিদেশফেরত বেকারের সংখ্যা ১ কোটির বেশি। যে সংখ্যা ২০১৯-এ ছিল ৫৮ হাজার।
ভার্জিল ইন নামে এক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ‘শিক্ষার মান কমে যাওয়ার কারণেও এমনটা হতে পারে। সেই সঙ্গে অনেক ভালো চাকরির আশায় নিম্ন মানের চাকরিতে যোগ দেন না। এজন্য বেকারত্বের হার বেড়েছে।’
এ বিষয়ে চীনের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘নতুন চাকরি সৃষ্টিতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে জাতীয়ভাবেও কর্মস্থল তৈরি করে মেধাবীদের কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উ ইয়াহুই জানান, ‘চীনে বেকারত্ব নতুন কিছু নয়। করোনার কারণে এটা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণে সরকারি নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে।’