সোমবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

বিএনপি নেতার মৃত্যু হৃদরোগে, সংঘাতে নয়: মন্ত্রী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পঞ্চগড়ে শনিবার বিএনপির গণমিছিলের কাছে আব্দুর রশিদের মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ, পুলিশের আঘাতে নয় এবং কর্মীদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া সমীচীন নয়।

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, পঞ্চগড়ে যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তিনি বিএনপি করতেন এবং যে কোনো মৃত্যুই বেদনাদায়ক। সেজন্য আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তবে তার মৃত্যু পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে নয়। তিনি হৃদরোগী ছিলেন, তার বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। তিনি বিএনপির মিছিলে এসেছিলেন বটে। কিন্তু আগেই একটি মসজিদের সামনে অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে- তার মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকেই হয়েছে। তবে বিএনপি তাদের কর্মীদের  সব সময় সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়, যা সমীচীন নয়। এই সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেশের কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না, তাদের দলের জন্যও এ পর্যন্ত কল্যাণ বয়ে আনেনি। এই সাংঘর্ষিক রাজনীতি বিএনপির পরিহার করা উচিত।

বিএনপি বারবার বলছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না- এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজন করে না। নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। আমরা চাই, দেশে অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হোক।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা তো ২০১৪ সালেও চেয়েছিলাম বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, তারা অংশ না নিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করার পথ বেছে নিয়েছিল এবং পাঁচশ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। প্রিসাইডিং অফিসারকে হত্যা করেছিল, পুলিশ তো আছেই। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল, শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং ফলাফল আপনারা জানেন, সর্বসাকুল্যে মহিলা আসনসহ ৭টি।

আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, বিএনপির অপরাজনীতি একটা চ্যালেঞ্জ, বিএনপি নানা কুশীলবদের সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী যে অপতৎপরতা আন্তর্জাতিকভাবে, দেশীয়ভাবে চালাচ্ছে, সেটি একটি চ্যালেঞ্জ। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তারা কী করতে চায় আমরা জানি এবং সেটি মোকাবিলা করতে কী করতে হবে, সেটাও আমরা জানি।

বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফের বক্তব্য ‘বিএনপির গণমিছিল সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা’-এর জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো রেগুলার ‘আন্দোলনের সূচনা’ করে। কিছুদিন পরপরই তারা আন্দোলনের সূচনা করে। আর তাদের গণমিছিলে লোকসমাগম আমরা দেখেছি, আপনারাও দেখেছেন, শুনেছেন। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন হয়ত নিজে প্রশান্তি পাওয়ার জন্য কিংবা তাদের কর্মীদের একটু আশার আলো দেখানোর জন্য এ কথা বলছেন, এর বেশি কিছু নয়।

দলের শীর্ষ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় হাছান মাহমুদের মন্তব্য চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার কর্তব্য হচ্ছে সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করা। আমি দুই দশক ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য হিসাবে সব সময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেয়েছি, ভবিষ্যতের পথ চলায়ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই।

 

সর্বশেষ - সারাদেশ