মঙ্গলবার , ৩ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ ইটভাটা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ৩, ২০২৩ ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অবৈধভাবে চলছে ইটভাটা। অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না। বরং ইটের মৌসুম আসাতে ভাটাগুলোতে কাজ চলছে জোরেশোরে। আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও দেখা যাচ্ছে না প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে।

ভাটার অনেক মালিক জানায়, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ ভাটার কার্যক্রম। অবৈধ এসব ইটভাটায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।কয়লার দাম বাড়তি থাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেদারে লাকড়ি-কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বৃক্ষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

নাচোল উপজেলায় মোট ৮টি ইটভাটা রয়েছে। ৮ ইটভাটার মধ্যে একটির ও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।

সোমবার দুপুরে নাচোল উপজেলার সদর ইউপির ভোলামোড়ে অবস্থিত টাটা ব্রিকস ইট ভাটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেইন রাস্তার ধারেই শত শত মেট্রিকটন কাঠ জমা করে রাখা আছে।

লাইসেন্সবিহীন টাটা ব্রিকস ইটভাটার চারপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে কয়েকশ মন লাকড়ি। ভাটাতে কাঠ পোড়ানোর ফলে চিমনি দিয়ে প্রচণ্ড বেগে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বসতি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

অপর দিকে এসব ইটভাটাতে ৩ থেকে ৪ ধরনের ফরমা ব্যবহার করা হয়। এতে ইটের সাইজ ছোট-বড় করে প্রতিনিয়তই ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়ে থাকে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধেরও বিধান রয়েছে। কিন্তু নাচোলে শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করেছে। এমনকি ইটভাটাগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে আমসহ বিভিন্ন গাছের কাঠ।

পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, নাচোলে ৮টি ইটভাটা রয়েছে। যার একটিরও পরিবেশ অধিদপ্তরের হালনাগাদ ছাড়পত্র নেই। এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ ইটভাটা বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি অবগত স্থানীয় প্রশাসন। খুব শ্রীঘ্রই এসব ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন যুগান্তরকে বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। নাচোল ইউএনওকে এসব ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।

 

সর্বশেষ - সারাদেশ