স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইরিন সুলতানার সঙ্গে খোকন মিয়ার প্রায় ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের সংসারে চারটি সন্তান আছে। প্রায় চার বছর আগে স্ত্রী-সন্তানদের সিলেটের ভাড়া বাসায় রেখে মালদ্বীপে চলে যান খোকন। খোকন প্রবাসে যাওয়ার পর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে আইরিন প্রায় দেড় বছর আগে কবির হোসেনের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। কবির ও আইরিন আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় আইরিন নিজেকে তালাকপ্রাপ্ত দাবি করেছিলেন। খবর পেয়ে দেশে ফিরে খোকন স্ত্রী আইরিনকে খুঁজতে থাকেন। গতকাল বিকেলে লামাবাজার এলাকায় আইরিন ও কবিরকে পেয়ে যান খোকন। এ সময় তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তাঁদের তিনজনকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেবেকা আক্তারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও বিষয়টির সমঝোতা না হওয়ায় তাঁদের শাহপরান থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। বুধবার রাত ১১টার দিকে শাহপরান থানা থেকে সিলেট কোতোয়ালি থানায় দুজনকে হস্তান্তর করা হলে খোকন মিয়া নিজের ভাড়া বাসায় চলে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাহপরান থানা থেকে আইরিন সুলতানা এবং কবির হোসেনকে কোতোয়ালি থানায় আনা হয়েছে। তবে খোকন মিয়া থানায় যাননি। বুধবার রাতে দুজন থানায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও তাঁরা থানায় ছিলেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী স্বীকার করেছেন তিনি প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এতে তিনি নিজেকে তালাকপ্রাপ্ত উল্লেখ করেছিলেন। এ ঘটনায় প্রথম স্বামী চাইলে ব্যভিচারের মামলা করতে পারবেন। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো মীমাংসা কিংবা অভিযোগ করা হয়নি। দ্বিতীয় স্বামী দাবি করা ব্যক্তি ও ওই নারী থানায় আছেন।