মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিন ভাইয়ের বসতঘর, মুদি দোকান ও গোডাউনে ভাঙচুর করে মালামাল লুটে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেছে ভোক্তভোগী পরিবারের সালাম মুন্সী। এর আগে বুধবার দিনগত রাতে উপজেলার চান্দেরচর গ্রামে এঘটনায়।
অভিযোগে প্রতিপক্ষ স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. জাফর আলীর ছেলে রমজানের নেতৃত্বে তিন ভাইয়ের বসতঘর ও একটি মুদি দোকানে ও দোকানের গোডাউনে এ ভাঙচুর করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ভয়ে বাড়িছাড়া তিন ভাই সালাম মুন্সী, সেলিম মুন্সী ও আলাউদ্দিন মুন্সীর পরিবার। এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সালাম মুন্সীর সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলীর বিরোধ চলেছিল। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় সিরাজদীখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলীর ছেলে সোহেল হোসেনকে (৩৪) কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই ঘটনায় তিন ভাই সালাম, সেলিম ও আলাউদ্দিন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এরপরই বুধবার রাতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায় জাফর পক্ষের লোকজন। এসময় তিন ভাইয়ের বসতঘরের দরজা, জানালা খুলে লুটে নেওয়া হয় সমস্ত মালামাল।
এবিষয়ে সালাম মুন্সীর দাবি, সাবেক ইউপি সদস্যের পরিবারের সঙ্গে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলেছে। ওই বিরোধের জেরে বুধবার রাতে সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে রমজান আলীর নেতৃত্বে একদল লোক হামলা চালিয়ে তাদের বসতঘর, মুদি দোকান ও দোকানের গোডাউন ভাঙচুর করে।
অন্যদিকে জাফর আলীর বড় ছেলে রমজান আলী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় আমার ছোট ভাই সোহেলকে কুপিয়েছে সেলিম মুন্সীর পরিবারের লোকজন। গুরুতর আহত ভাইকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে ব্যস্ত রয়েছি। তবে বুধবার রাতে সালাম ভাইদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু কারা করেছে জানি না।
সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।