একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের খান আশরাফসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।
রেজিয়া সুলতানা চমন জাগো নিউজকে বলেন, এ মামলার আসামি ইদ্রিস আলী অসুস্থ থাকায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সম্ভব হয়নি। তাই মামলায় আসামির বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার কচুয়া ও মোড়েলগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যার সাতটি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৭ সালের ৩১ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেন। পরে ফরমাল চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। একই বছরের ২৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর সাত অপরাধে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) প্রসিকিউশন টিম থেকে দাখিল করা হয়।
মামলায় আসামিরা হলেন বাগেরহাটের খান আশরাফ আলী (৬৫), খান আকরাম হোসেন (৬০), সুলতান আলী খান (৬৮), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), ইদ্রিস আলী মোল্লা (৬৪), মকছেদ আলী দিদার (৮৩), শেখ মো. উকিল উদ্দিন (৬২), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১), শেখ রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল (৬৪), মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার (৬৯), মো. হাশেম আলী শেখ (৭৯), মো. আজাহার আলী শিকদার (৬৪), মো. মকবুল মোল্লা (৭৯) ও মো. আব্দুল আলী মোল্লা (৬৫)।