এর আগে ১৯৬৯ সালে শহরটির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার জেনহে শহরের তাপমাত্রা মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। চীনের ইতিহাসে এটা দেশটির সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড।
সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলি এক প্রতিবেদনে জানায়, মোহে শহরটি ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য পরিচিত। মোহেকে চীনের সবচেয়ে শীতল শহর বলে মনে করা হয়। শহরটিতে সাধারণত বছরে আট মাস শীত থাকে।
ফলে বলতে গেলে সারা বছরই শহরটি পর্যটক আকর্ষণ করে। শীত উপভোগ করতে অসংখ্য পর্যটক শহরটির বরফ ও তুষার পার্কে ভিড় করেন। তাঁরা স্কি করেন। বিগত বছরগুলোতে শহরটিতে শীতকালীন ম্যারাথন আয়োজন করা হয়েছিল।
বছরের এই সময়টাতে সাধারণত মোহে শহরের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে।
গত সপ্তাহে চীনের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, এবার এই অঞ্চলে তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যেতে পারে। বইতে পারে মারাত্মক শীতল হাওয়া।
গত শুক্রবার মোহে শহরের তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। টানা তিন দিন ধরে শহরটির তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রির নিচে ছিল। এ তথ্য জানিয়ে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনা নজিরবিহীন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাইরে বের হওয়ার ১০ সেকেন্ডের মধ্যে তাঁর হাত অসাড় হয়ে পড়েছে। চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে আছে। অবস্থা এমন যে, ১০০ মিটার দূরের কাউকে পর্যন্ত দেখা যায় না।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি ক্যামেরাতে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মোহে শহরে এক সাংবাদিক ঘরের বাইরে একটি ডিম ভাঙেন। তীব্র ঠান্ডায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ডিমটি জমে যায়।
চীনে কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭

চীনের সবচেয়ে দক্ষিণের প্রদেশ গুয়াংডং থেকে লি নামের এক পর্যটক মোহে শহরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। চরম আবহাওয়ার অভিজ্ঞতা নেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তবে শহরটিতে গিয়ে যে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রার মুখোমুখি তাঁকে হতে হবে, তা ভাবতে পারেননি লি। তিনি বেইজিং নিউজকে বলেন, এটা তাঁর জন্য অবাক হওয়ার মতো বিষয় ছিল।
তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও মোহে শহরে ঘরের বাইরে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে পুলিশ, সেনা, অগ্নিনির্বাপণ, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে চীনা সংবাদমাধ্যম।
চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখছে চীন। ঠান্ডা ও গরম—উভয় ক্ষেত্রে চীন গত এক বছরে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখেছে।
তীব্র দাবদাহে চীনের অর্ধেক এলাকায় খরা

চলতি মাসের শুরুতে সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬০ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্ম ও শরৎ দেখেছে চীন। এ ক্ষেত্রে দেশটির একাধিক শহর রেকর্ড ভেঙেছে। চরমভাবাপন্ন এই আবহাওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা হচ্ছে।