গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, ‘জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আজ গণতন্ত্র হরণ করে যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার দাবি করছে তারাই আসলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়াই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে লোপাটের রাজত্ব কায়েম করছে এই কর্তৃত্ববাদী সরকার।’
বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন মেইন রোডে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।
গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে গণফোরাম (একাংশ) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় মোস্তফা মোহসিন মন্টু আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দলীয় সরকারের অধীনে গত দুইটি নির্বাচনের মাধ্যমে ধ্বংস করে পরিবারতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র ও সন্ত্রাসতন্ত্র কায়েম করেছে। বিরোধী দলকে রাজপথে সভা সমাবেশ করতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা কিসের গণতন্ত্র! আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুখী-সমৃদ্ধশালী একটি কল্যাণমুখী দেশ রেখে যেতে চাই, যার জন্য সুস্থ ধারার রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজপথের গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে গণবিরোধী এই সরকারের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ৭১’-এর মুক্তিযুদ্ধের মতো বিজয় ছিনিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী বলেন, ‘আমাদের দাবি পরিষ্কার-আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফেরত চাই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পেতে একটাই উপায়-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই দাবিতে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
জনদুর্ভোগ কমাতে অবিলম্বে গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে, নইলে জনতা এর সমুচিত জবাব দিবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের একাংশের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, সভাপতি পরিষদ সদস্য আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. নাসির হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম. এ. কাদের মার্শাল, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ জাহান সুমনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির সদস্যবৃন্দ।
এছাড়া বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব আবদুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান লিটন, নাজমা আক্তার, হারুন-অর রশিদ, বিলকিস খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।