শুক্রবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন আবু আসিফ বললেন, কী হয়েছে আ.লীগের কাছে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের নিখোঁজ প্রার্থী আসিফের খোঁজ মিলেছে

আবু আসিফ আহমেদ

কেমন আছেন জানতে চাইলে আবু আসিফ আহমেদ বলেন, ‘আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম। শারীরিকভাবে খারাপ লাগতেছে। ওজনই মনে হয় পাঁচ কেজি কমে গেছে। এত কিছু হলো। ফোনটা পর্যন্ত পড়েছে রয়েছে। অন করতে ইচ্ছা করছে না। বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়েছি। শুক্রবার সকাল ১০টার পরে ঘুম থেকে উঠেছি। এখনো বিছানার মধ্যেই রয়েছি। শরীর দুর্বল লাগছে।’

আবু আসিফ আরও বলেন, গতকাল বেলা ১১ থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ঢাকার বাসায় ফেরেন। চিকিৎসক দেখাতে ঢাকার বাসায় গিয়েছিলেন। পরে স্ত্রী তাঁকে আশুগঞ্জের বাসায় নিয়ে আসেন। বিকেল চারটার পর আশুগঞ্জের বাসায় পৌঁছান।

আসিফ কেন ভয়ে সরে দাঁড়াল এবং কোথায় গেল, এ প্রশ্নের উত্তর একমাত্র তার স্ত্রীই ভালো বলতে পারবে; আর কেউ নয়।

আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

গতকাল বাড়ি ফিরে আবু আসিফ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চাপ অনুভব করায় নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এই চাপ কারও সৃষ্ট কি না, তা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে চাননি। তবে তিনি বলেন, ‘এগুলো আপনি আওয়ামী লীগের যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। কী হয়েছে, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন।’ গত শুক্রবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোথায় ছিলেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’

চাপ অনুভব করাতে নির্বাচন থেকে সরে গেছি: আবু আসিফ

বিকেলে বাসায় ফেরেন আবু আসিফ আহমেদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জের শরীয়তনগর এলাকায়

এসব বলে আর লাভ নেই উল্লেখ করে আবু আসিফ বলেন, ‘আমি যখন মনোনয়নপত্র কিনি, তখনই উপনির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জিজ্ঞাসা করছি, ইলেকশনটা দেবেন কি না? ইচ্ছা আছে কি না (সুষ্ঠু নির্বাচনের)? যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন, তাহলে দাঁড়াব। তা না হলে আমার মতো নিরীহ মানুষ প্রার্থী হবে না। শুধু বিএনপির লোকজন নন, সাধারণ মানুষও এসে আমার পাশে দাঁড়ান।’

গত বুধবারের উপনির্বাচন ও নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবু আসিফ আহমেদ বলেন, ‘এসব নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। যেহেতু নির্বাচন থেকে সরে গেছি, তাই এসব নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।’ তিনি ফলাফলও দেখেননি বলে জানান।

ভবিষ্যতে নির্বাচনে আর প্রার্থী হবেন কি না, এ প্রসঙ্গে আবু আসিফ আহমেদ বলেন, ‘আসলে এ–জাতীয় নির্বাচন হলে আমি আর প্রার্থী হব না। আর নির্বাচনে প্রার্থী হব কি না, এই মুহূর্তেই বলতে পারছি না। সময় আসুক। দেখা যাক। তবে আমার ইচ্ছা নেই।’ তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশ প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে সুস্থ হয়ে উঠি। চার থেকে পাঁচ দিন পর বাসা থেকে বের হব, আশা করছি। বর্তমানে কোনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি না।’

ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন: নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্ত্রী

ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন: নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্ত্রী

বাসায় ফেরার পর থেকে বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষীরা খোঁজখবর নিয়েছেন। এ ছাড়া আশপাশের লোকজন, আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন ও সরাইল উপজেলার দু-চারজন এসে দেখে গেছেন বলে জানান তিনি।

আবু আসিফের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বা রাজনৈতিকভাবে তাঁকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী তাঁকে কিছু বলেননি। এ কথা কেউ বলতে পারবে না।’ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিওর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আসিফ কেন ভয়ে সরে দাঁড়াল এবং কোথায় গেল, এ প্রশ্নের উত্তর একমাত্র তার স্ত্রীই ভালো বলতে পারবে; আর কেউ নয়।’

আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরীন বলেন, ‘জনগণের জন্য নির্বাচনে আমার স্বামী প্রার্থী হয়েছিল। বাকি সবটা কী হয়েছে সবাই জানে। কোনো কিছু নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে আবু আসিফের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের ৯২ ঘণ্টা পর তাঁর সন্ধানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন তাঁর স্ত্রী মেহেরুননিছা। গত মঙ্গলবার রাতে আশুগঞ্জ থানার নিখোঁজ প্রসঙ্গে তাঁর স্ত্রী সাধারণ ডায়েরি করেন। গতকাল তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়।

সর্বশেষ - সারাদেশ