আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির সমাবেশস্থলে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, রাতের মধ্যেই মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে গেছে। মাঠে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। মাইকে চলছে বক্তৃতা।
অন্যদিকে নগরের ফজলুল হক অ্যাভিনিউ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নগরভবনের সামনের সড়কের ওপর বিশাল মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। মঞ্চ সাজসজ্জার কাজও শেষ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সহিংসতার পক্ষে নই। আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে শান্তি সমাবেশ ডেকেছি। এ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের কোনো যোগসূত্র নেই। তবে বিএনপি যদি সহিংস হয়, সেটা জনগণকে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে।’
বিএনপির সমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি কি না, এমন প্রশ্নে এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, অবশ্যই তা নয়। কারণ, বিএনপি সমাবেশের জন্য জায়গা চেয়েছে, প্রশাসন জায়গা দিয়েছে। তাঁরা চান, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করুক। জনগণের ভোগান্তি, দেশ-জাতির ক্ষতিসাধিত হয়, এমন অশান্তির সৃষ্টি না করুক।
মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি

একই দিন হঠাৎ এমন শান্তি সমাবেশ ডাকা বিএনপির কর্মসূচির ওপর একটি মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রয়োগেরই কৌশল বলে মনে করেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার। তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, গত ৪ নভেম্বর বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করেছিল। সেই সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে দুদিন আগে সারা দেশ থেকে বরিশালকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সব গণপরিবহন বন্ধ করে, বাধা দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেও জনগণকে ঠেকানো যায়নি। ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ এবার ভিন্ন কৌশলে শান্তি সমাবেশ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
ঢাকাসহ ১০টি বড় শহরে বিএনপির সমাবেশ আজ

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজনের জন্য নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিল বিএনপি। তবে সেখানে সাত দিনব্যাপী বিভাগীয় এসএমই মেলা চলায় বিকল্প হিসেবে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে দলটি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুক্তি; গ্যাস, বিদ্যুৎ, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের উপস্থিত থাকার কথা আছে।