সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত গ্রামে বসতঘরে মজুদকৃত ভারতীয় চোরাচালানের কয়লার চালানসহ দুই পেশাদার চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরপূর্বক তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি সীমান্ত গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে আবু বক্কর ও একই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মহর উদ্দিন।
এর আগে বুধবার মধ্যরাত পরবর্তী সময়ে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চোরাচালানের কয়লার চালানসহ তাদের আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল এ তথ্য যুগান্তরকে নিশ্চিত করে।
মিডিয়া সেল জানায়, সম্প্রতি উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের কলাগাঁও মাইজহাটি, জঙ্গলবাড়িসহ একাধিক সীমান্ত গ্রাম দিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা বস্তাভর্তি কয়লার চালান মজুদ করে রাখা হয় একাধিক বসতঘরে ও বসত ঘরের আশপাশে থাকা ঝুঁপড়ি ঘরে।
এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই মোহাম্মদ শাহাদত হোসাইন ও টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম বুধবার মধ্যরাতে বিশেষ অভিযানে নামে। এরপর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি সীমান্ত গ্রামের আবু বক্করের বসতঘর থেকে ১২১ বস্তা (৪.৮৪ মেট্রিক টন) ভারতীয় চোরাচালানের কয়লা জব্দ করে। এ সময় আবু বক্কর ও তার সঙ্গে থাকা সহযোগী মহর উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও কৌশলে তার অপর কয়েক সহযোগী চোরাকারবারি পালিয়ে যায়।
বুধবার রাতে আবু বক্কর, মহর উদ্দিনকে গ্রেফতার ও তাদের তিন সহযোগীকে পলাতক আসামি দেখিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অপর পলাতক আসামিরা হলেন- উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি সীমান্ত গ্রামের মৃত আব্দুস সাক্তারের ছেলে আয়নাল হক ওরফে আইনুল, একই গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইকুল, মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন যুগান্তরকে জনান, সীমান্তে মাদক, কয়লা, চুনাপাথর, আমদানি নিষিদ্ধ বিড়ি, কসমেটিকসসহ যে কোনো ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।