নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজেপির এক ক্ষুব্ধ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবারে মানুষ একেবারে চুপচাপ আছেন, যা থেকে ধরে নেওয়া যেতে পারে, তাঁরা ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ভোট দেবেন না। রাজ্যে ধারাবাহিকভাবে বিজেপির শীর্ষ নেতারা আসছেন, কিন্তু জনসভায় ভিড় হচ্ছে না। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এসেছিলেন দুই দিন আগে। জনসভায় খুব কম ভিড় দেখে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে সভা শেষ করে তিনি চলে যান।’
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সমানে সমান লড়াই

বিজেপির ওই নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য অন্যান্য জেলা থেকে লোক আমবাসা এবং ধলাইয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার ধূপছড়া নামের এক জায়গায় ভিড় না হওয়ার কারণে সভা করেননি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
এ অবস্থায় রাজ্য দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই নির্বাচনের ঠিক আগে পরপর দুবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের প্রচারে এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ত্রিপুরায় যাচ্ছেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদসূচক আলোচনায় ত্রিপুরা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যে গত পাঁচ বছরে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তিন লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উন্নয়নের মডেলের কথা প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী ধোলাই জেলায় আসছেন। এ নিয়ে জেলায় ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৯৫ সালে নতুন জেলা গঠিত হওয়ার পর কোনো প্রধানমন্ত্রী ধলাইয়ে আসেননি।