রবিবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

মানা হচ্ছে না নির্ধারিত মূল্য চুয়াডাঙ্গায় প্যাকেটজাত চিনি উধাও

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩ ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

চুয়াডাঙ্গায় পাওয়া যাচ্ছে না প্যাকেটজাত চিনি। ফলে রিফাইনার মিলের চিনি কিনছেন ভোক্তারা। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যে চিনি না পাওয়ায় চাহিদা থাকলেও বাধ্য হয়ে ক্রেতারা আগের থেকে কম পরিমাণে চিনি কিনছেন। গত কয়েকদিন চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরএ) দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে প্যাকেটজাত চিনির দাম ১১২ ও খোলা চিনি ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার, কোর্ট মোড়, পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লার দোকানে সংকটের অজুহাতে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৬ টাকায়।

chini-(1).jpg

চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি দোকানে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি প্যাকেটজাত চিনি। হঠাৎ হঠাৎ চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দোকানিরা যখন যে দাম বলছেন, সে দামেই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রতিদিনই যেন সব পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু পেনশনের টাকাতো বাড়ছে না। এক বছর আগেও যে চিনি ৬৫-৭০ টাকায় কিনেছি, সে চিনি এখন ১১৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। সেটাও খোলা রিফাইনারি চিনি। দেশের এতো বড় চিনির মিল বাড়ির পাশে, অথচ সেই কেরুর চিনিও আমরা পাচ্ছি না। বাজারে প্যাকেটজাত চিনিও নেই।

পৌর শহরের শান্তিপাড়া স্কুল মোড়ের খুচরা দোকানি ইমন শেখ বলেন, বাজার থেকে বস্তা ধরে চিনি কিনে বিক্রি করি। এতে প্রতিকেজি চিনির ক্রয় মূল্য পড়ছে ১০৮-১১০ টাকা। আমরা ১১৪-১১৫ টাকায় বিক্রি করছি। বাজারে চিনির দাম এভাবে বাড়বে ভাবতেই পারিনি।

chini-(1).jpg

শহরের চা-দোকানি গাফফার বলেন, ‘চিনির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে চা বিক্রি করে সংসার চালানো যাচ্ছে না। চিনির দাম বাড়ছে কিন্তু চায়ের দাম তো বাড়ানো যাচ্ছে না। প্রতি কাপ লাল চা সাত টাকা করা গেলে ভালো হতো।’

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের পাইকারি দোকানি আনোয়ার বলেন, ‘চিনির দাম যেন মাসে মাসে বাড়ানো হচ্ছে। আমরা প্রতি কেজি চিনি ১০৮ টাকা দরে পরিবেশকদের নিকট থেকে পাচ্ছি। আর বিক্রি করছি ১১০ টাকায়। মানুষ চিনি কেনাও কমিয়ে দিয়েছে। আগে একসঙ্গে দুই থেকে চার কেজির বেশি চিনি কিনতেন যে ক্রেতা, এখন সেই ক্রেতা এক কেজির বেশি কিনছেন না।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী সালাউদ্দিন চান্নু বলেন, ‘দর্শনায় কেরু কোম্পানির চিনির একজন পরিবেশক আগে চিনি সরবরাহ করলেও এখন কেরু থেকে তিনিই চিনি পাচ্ছেন না। তাই বিভিন্ন কোম্পানির রিফাইনারি চিনি কিনতে হচ্ছে। গত বছরের জানুয়ারিতে রিফাইনারি কোম্পানির প্রতি বস্তা চিনি কিনতে খরচ হয়েছে তিন হাজার ৫০৩ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সেই চিনি কিনতে খরচ হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকার বেশি। বস্তাপ্রতি চিনির দাম বেড়েছে দুই হাজার টাকার বেশি। কিন্তু আমাদের মুনাফা বাড়েনি। কোম্পানিতে ট্রাক আটকে থাকলে প্রতিদিনের জন্য তিন হাজার টাকা করে অতিরিক্ত গুণতে হয়। সরকার চিনির দাম বাড়ালে পরিবেশক পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যায়ে তার দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’

সর্বশেষ - সারাদেশ