ধৃমল দত্ত, কলকাতা
কলকাতা থেকে ঢাকার পথে সাইকেল নিয়ে রওনা হলেন একদল ভাষাপ্রেমী। এসময় তাদের কণ্ঠে শোনা যায় একই ধরনের স্লোগান, ‘বাংলা কখনো হয় না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক। বাংলা কখনো হয় না ভাগ, মুক্তিযুদ্ধেও আমরা এক।’
১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আট দিনের এই পথযাত্রার সূচনা করেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাকমিশনরের প্রথম প্রস সচিব রঞ্জন সেন, বাংলাদেশের লেখক ও সাহ্যিত্যিক শাহীন আরা সুলতানা, পশ্চিমবঙ্গের লেখক ও সাহিত্যিক সুমন ভট্টাচার্যসহ আরও অনেকে।
১৫ জনের এই প্রতিনিধি দলে চিকিৎসক, দিনমজুর, কলেজ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিজীবীরাও রয়েছেন। কলকাতা-সোদপুর-বারাসাত-বনগা-পেট্রাপোল স্থলসীমান্ত বন্দর পেরিয়ে এই সাইকেল র্যালিটি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। পরদিন বেনাপোল-নরাইল-ভাঙা-মাওয়া হয়ে ৩৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পৌঁছবে। পরদিন একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
হান্ড্রেড মাইলস, ভাষা সূত্র সংস্থার তরফে এই র্যালির আয়োজন। করোনার কারণে গত দুই বছর এই র্যালি অনুষ্ঠিত হয়নি। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বরজিত রায় ও বুদ্ধদেব দাস।
যাত্রাপথের শুভ সূচনা করে গৌতম ঘোষ বলেন ‘বাংলাদেশ খুব একটা ভালো জায়গা। আমি যখন পদ্মা নদীর মাঝি শুটিং করেছিলাম তারপর থেকে বাংলাদেশ অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষজন অনেক ভালো রয়েছে, অনেক কাজ করছে। এমন একটি দেশে আপনারা যাচ্ছেন খুবই আনন্দের ব্যাপার। এপার ওপারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, একই জায়গা, একই ভাষা। আপনারা ভালোভাবে ঘুরে আসুন এটাই কামনা করি।’
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের প্রথম প্রেস সচিব রঞ্জন সেন বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাইকেলে করে বাংলাদেশে গিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা যারা জানাবেন তাদের সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।
শাহীন আরা সুলতানা বলেন, ‘একজন বাংলাদেশি হিসেবে এরকম একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। ভাষাকে কেন্দ্র করে যখন কোনো অনুষ্ঠান হয় তার আবেদন, আবেগ অনুভূতিই আলাদা হয়। আসলে ভাষাকে সূত্র করেই আমরা আজ এক।’