অভ্যন্তরীণ নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘বেশির ভাগ গুগলাররা এখন অন্য একজন গুগলারের সঙ্গে একটি ডেস্ক ভাগাভাগির মাধ্যমে কাজ করবেন। তাঁরা আশা করে, একই দিনে একই ডেস্কে যেন কাজ না করতে হয়, সে কারণে কর্মীরা বিকল্প দিনে আসবেন। এই ম্যাচিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা একটি মৌলিক ডেস্ক সেটআপে সম্মত হবেন। ভাগাভাগির নতুন এই পরিবেশে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য ডেস্কের অংশীদার ও টিমের জন্য নিয়মও চালু করা হবে।’ কোনো কর্মী অনির্ধারিত দিনে অফিসে আসার প্রয়োজন হলে তাঁদের ‘ওভারফ্লো ড্রপ-ইন স্পেসে’ রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের আগে বিপুল বেতন বেড়েছে গুগলপ্রধানের

ডেস্ক ভাগাভাগির মাধ্যমে কাজ করার এ ব্যবস্থাকে ‘ক্লাউড অফিস ইভল্যুশন’ বা ‘ক্লোই’ নাম দিয়েছে গুগল। এটিকে হাইব্রিড কাজের ‘নমনীয়তার সঙ্গে প্রাক্-মহামারিকালে সহযোগিতার সর্বোত্তম সমন্বয়’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। গুগলের ক্লাউড বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও অলাভজনক বিভাগ। নোটিশে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা কোনো অস্থায়ী পাইলট প্রকল্প নয়। এটি শেষ পর্যন্ত স্থানের আরও দক্ষ ব্যবহারের দিকে পরিচালিত করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুগলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অফিসে সশরীর ফিরে আসার পর থেকে আমরা বিভিন্ন হাইব্রিড কাজের মডেল পেতে পাইলট প্রকল্প চালাচ্ছি এবং ক্লাউড বিভাগের কর্মীদের নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছি। আমাদের তথ্য বলছে, ক্লাউড কর্মীরা যখন অফিসে থাকেন, তখন তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া প্রতি অফিসে সপ্তাহে কয়েক দিন বাড়ি থেকে কাজ করারও বিকল্প থাকছে। এর ভিত্তিতেই আমরা শিফটভিত্তিক নতুন মডেল তৈরি করেছি। পাশাপাশি অফিসের জায়গা আরও দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।’
ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের আবেগী চিঠি দিলেন পিচাই

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী সদস্যরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী অফিস জায়গা কমানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটি চলতি ত্রৈমাসিকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে। তবে এতে অন্যান্য রিয়েল এস্টেট চার্জ বেড়ে যেতে পারে।
গুগল থেকে ছাঁটাই সাত কর্মী এক হয়ে গড়ছেন নতুন কোম্পানি

নতুন এ ব্যবস্থায় ডেস্ক ভাগাভাগির দায়িত্ব প্রতিটি টিমের একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট বা পরিচালকে দেওয়া হবে। তাঁরাই ডেস্ক ভাগাভাগির বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদারকি করবেন। এ ব্যবস্থায় প্রতি কর্মীকে পালা করে সপ্তাহে তিন দিন করে অফিসে আসতে হবে।