রাজশাহী অঞ্চলে লিচু গাছের বাগানগুলোতে আসতে শুরু করেছে মুকুল। তবে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় গাছগুলোতে মুকুল এসেছে কম। তবে ভালো ফলন পেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগান মালিকরা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজশাহীতে ৫১২ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান আছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০৯ টন।
রাজশাহীর লিচু বাগানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ পাতার আড়ালে উঁকি দিচ্ছে হলুদ মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচুবাগান। তবে, শুরুতে বৃষ্টি না থাকায় অনেক গাছে মুকুল কম এসেছে বলে জানান বাগান মালিকরা। ফলে উৎপাদন নিয়েও বেশ চিন্তিত তারা।
বরেন্দ্রের এ মাটিতে বোম্বে, চায়না ও দেশি জাতের লিচু চাষ হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে তাই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে গাছে গাছে ছিটানো হচ্ছে কীটনাশক। ভালো ফলন পেতে লিচু বাগানিদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। অভিজ্ঞ বাগান মালিকরা বাগানের পরিচর্যা করছেন নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে।
রাজশাহী নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকার লিচু চাষি আব্দুস সালাম বলেন, ‘১০ কাঠা জমিতে লিচু গাছ আছে। তবে এবার গতবারের চেয়ে মুকুল কম এসেছে। যে কটা গাছে মুকুল এসেছে বিষ প্রয়োগ করছি। ফলে পোকা মাকড় কম লাগবে। যে কটা মকুল টিকবে সেগুলা যাতে ভালো থাকে।’
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চায়না ও দেশি জাতের লিচু গাছ আছে। এবার মুকুল কম এসেছে। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে গাছে এখন কীটনাশক দিচ্ছি।’
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহীতে এবার লিচুর মুকুল কম এসেছে। তবে কৃষি বিভাগ থেকে ভালো ফলন পেতে লিচু বাগানিদের নানা পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি শেষ পর্যন্ত ফলন ভালোই হবে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, লিচু একবার ভালো ফলন দিলে পরের বার একটু কম হয়। যেহেতু গতবছর রাজশাহীতে লিচু ভালো ফলন দিয়েছিল তাই এবার কম উৎপাদন হবে। এবার গাছে মুকুলও কম এসেছে।
তিনি আরও বলেন, গাছে গাছে মুকুল আসছে। তাই এখন গাছের গোঁড়ায় পানি দিতে হবে। পাশাপাশি পোকার আক্রমণ ঠেকাতে শুধুমাত্র বিষ প্রয়োগ করতে হবে। তবেই বেশ ভালো লিচু পাওয়া যাবে।