আদিয়াহ ও আদ্রিয়ালের মা শাকিনা রাজেন্দ্রাম বলেন, গর্ভাবস্থার ২১ সপ্তাহ ৫ দিন বয়সে তাঁর প্রসবব্যথা শুরু হয়। তখন চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, বাচ্চাদের অবস্থা ভালো নয়। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।

এটি ছিল শাকিনার দ্বিতীয়বারের মতো গর্ভাবস্থা। কয়েক মাস আগে অন্টারিওতে নিজের বাসার কাছেই একই হাসপাতালে প্রসবের সময় তাঁর প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয়।
আদিয়াহ ও আদ্রিয়ালের বাবা কেভিন নাদারাজাহ বলেন, হাসপাতাল থেকে তাঁদের জানানো হয়েছিল, এ ধরনের প্রাথমিক গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে তারা তেমন একটা সাহায্য করতে পারবে না। এ কথা শোনার পর থেকে তিনি রাত জেগে প্রার্থনা করেছেন আর কেঁদেছেন।

অধিকাংশ হাসপাতাল ২৪ থেকে ২৬ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করে না। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে এই দম্পতি টরন্টোর মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে যেতে পেরেছিলেন। সেখানে বিশেষায়িত নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট আছে।
শাকিনার প্রসবব্যথা ওঠার দ্বিতীয় দিন ছিল গর্ভাবস্থার ২১ সপ্তাহ ছয় দিন। এদিন তাঁকে বলা হয়েছিল, ২২ সপ্তাহের কয়েক মিনিট আগেও যদি সন্তানের জন্ম হয় তাহলে তারা বাঁচবে না। ইতিমধ্যে তাঁর রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গেছে। এরপরও তিনি চিকিৎসকদের বলেছিলেন, তিনি আরও কয়েক ঘণ্টা শিশুদের জন্ম দেওয়া আটকে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

শেষ পর্যন্ত মধ্যরাতের ১৫ মিনিট পরে শাকিনার পানি ভেঙে যায়। গর্ভে ২২ সপ্তাহ প্রবেশ করার দুই ঘণ্টারও কম সময় পরে যমজ শিশু আদিয়াহ ও আদ্রিয়ালের জন্ম হয়। শুরুর দিকে তাঁদের মারাত্মক শারীরিক জটিলতা ছিল। এসব কাটিয়ে এখন তাদের বয়স এক বছর।
শাকিনা বলেন, ‘আমরা অনেকবার চোখের সামনে সন্তানদের প্রায় মারা যেতে দেখেছি। তারা এখনো চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। ভাইবোন দুর্দান্ত সাড়া দিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বে সবচেয়ে অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশু ছিল আলাবামার কার্টিস মিনস। ২১ সপ্তাহ এক দিনে তার জন্ম হয়েছিল।’