বুধবার , ৮ মার্চ ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ত্রিপুরায় শপথ নিলেন মানিক সাহা, তিপ্রা মথাকে মন্ত্রিসভায় আনার চেষ্টা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ৮, ২০২৩ ১:৩৬ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও ত্রিপুরা নির্বাচনের অন্যতম প্রধান কৌশলী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পি এস তামাংসহ বিজেপির শীর্ষ আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

যাঁর জায়গায় মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল, সেই বিপ্লবকুমার দেবও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পূর্ববর্তী সরকারের চারজনকে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন রতনলাল নাথ, প্রাণজিত সিংহরায়, শান্তনু চাকমা ও সুশান্ত চৌধুরী। অল্পবয়স্ক তিনজন নতুন এমএলএকেও মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁরা হলেন টিংকু রায়, বিকাশ দেববর্মা ও সুধাংশু দাস। তাঁরা এদিন শপথ নিয়েছেন।

বিজেপির উপজাতীয় শরিক ইন্ডিজেনাস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরার একমাত্র এমএলএ শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াও এদিন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

ত্রিপুরার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে তারা নির্বাচনে তাদের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ উপজাতীয় দল তিপ্রা মথাকে মন্ত্রিসভায় আনতে আগ্রহী। গত শনিবার হিমন্ত বিশ্বশর্মা স্পষ্ট জানান যে প্রয়োজনে তিপ্রা মথার সঙ্গে কাজ করতে বিজেপির কোনোই সমস্যা নেই।

বিশ্বশর্মা বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্য ভাগ হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু উপজাতীয় মানুষের সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন এবং এই লক্ষ্যে ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্র সরকার একযোগে কাজ করবে। প্রয়োজনে তারা তিপ্রা মথার সঙ্গেও কাজ করবে, কোনোই সমস্যা নেই।’

বিশ্বশর্মার এ বক্তব্যের পর তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মণ বলেছেন, ‘আমরাও তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আমরা সাংবিধানিক সমাধান চাই। আমরা ভূমিপুত্র। আমাদের যদি সম্মান দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমরা অবশ্যই যাব। কিন্তু শুধু যদি কতগুলো পদ অলংকৃত করতে বলা হয়, তবে আমরা তা করব না। শুধু পদ অলংকৃত করার জন্য তিপ্রা মথার জন্ম হয়নি, আমাদের সাংবিধানিক সমাধানসূত্র প্রয়োজন। ত্রিপুরার মূলবাসীদের বাদ দিয়ে রাজ্য চালানো খুব সহজ কাজ হবে না।’

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দেববর্মণ আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

রাজ্য সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের নাম এখনো চূড়ান্ত করেনি। এর থেকে ধরে নেওয়া হচ্ছে যে অল্প দিনের মধ্যেই তিপ্রাকে মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ানো হবে, ওই মন্ত্রণালয় তাদের দেওয়া হবে।

৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় ১৩টি আসন পেয়ে তিপ্রা মথা এককভাবে এ মুহূর্তে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। সিপিআইএম (কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া মার্ক্সিস্ট) ১১টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ফলে আগামী দিনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তিপ্রা মথার স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে বিজেপি। কারণ, অনুপজাতি, অর্থাৎ প্রধানত বাঙালি ও উপজাতীয় দলের মধ্যে বিরোধিতার রাজনীতি ত্রিপুরার সামগ্রিক রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সম্ভবত সেই লক্ষ্যেই তিপ্রাকে সরকারে আনতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।

সর্বশেষ - সারাদেশ