চাঁদপুর হরিণা ঘাটে পুলিশের হাতে আটক পাঁচ জেলে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে হরিণা ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসিম মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১০ জেলেকে আটক করে নিয়ে আসেন।
আটকের পরেই আসামিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য দুইজন দালালের সঙ্গে এসআই জসিমের দরকষাকষি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতর থেকে পাঁচ জেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনা জানাজানি হলে রাতে হরিণা ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়িতে লোকজন জড়ো হন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দালাল ফারুক ও নেছুর মাধ্যমে এসআই জসিমের সঙ্গে বিভিন্ন জেলে যোগসাজশ করে নদীতে মাছ শিকারে নামেন। যাদের সঙ্গে যোগসাজশ নেই তাদের ধরে এনে মামলা দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার দিন জেলে ধরে আনার পর সেই দালাল নেছু ও ফারুক জেলেদের ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা চালান। তারা পাঁচ জেলেকে সুকৌশলে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতর থেকে বের করে নিয়ে যান।
আসামি পালানোর খবর জানতে পেরে নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করেন।
এ ব্যাপারে নৌপুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসামি ধরার পর পালিয়ে যাওয়ার কথা সঠিক নয়। নদীতে ছয়জন জেলে ছিল। এর মধ্যে একজনকে নৌপুলিশ তাৎক্ষণিক আটক করেছে। বাকি পাঁচজন তখন পালিয়ে যায়।তাদের আটক করার তৎপরতা চলছে।