গত সপ্তাহে এক ভাষণে এরদোয়ান বলেছিলেন, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে ‘যা প্রয়োজন’ তা করা হবে।
এদিকে পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লুকে ঘিরে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
গত সপ্তাহে আরেকজন বিশিষ্ট বিরোধী নেতা মেরাল আকসেনার প্রাথমিকভাবে কিলিচদারোগ্লুর প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হওয়ার বিরোধিতা করেছেন। সাবেক আমলা কিলিচদারোগ্লু, যাকে কেউ কেউ অকার্যকর বলে মনে করেন, তিনি এরদোয়ানকে পরাজিত করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মেরাল আকসেনা। তবে গত সোমবার আকসেনার কিলিচদারোগ্লুর প্রতি তাঁর সমর্থন জানান।
তুরস্কের বিরোধী নেতারা অর্থনৈতিক মন্দা, নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত করার জন্য ৬৮ বছর বয়সী এরদোয়ানকে দায়ী করছেন। তাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে ‘এক ব্যক্তির শাসন’ ব্যবস্থা চালুর অভিযোগ করেছেন। তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তাঁর জনপ্রিয়তাও কমেছে।
গত মাসে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির জন্য এরদোয়ান সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ এখনো তাঁবু বা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন।
এরদোয়ান ২০০৩ সাল থেকে তুরস্কের ক্ষমতায় আছেন। প্রথম তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আর ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন।
২০১৮ সালে এরদোয়ান একটি নতুন শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এই ব্যবস্থা দেশটির প্রেসিডেন্টের হাতে বেশির ভাগ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে। আগে প্রেসিডেন্টের পদটি ছিল মূলত আনুষ্ঠানিক পদ। নতুন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের নিয়ম করা হয়।