ইডি জানিয়েছে, দিল্লি, রাঁচি, মুম্বাই, পাটনাসহ মোট ২৪টি স্থানে একযোগে এই তল্লাশি চালানো হয়। এ অভিযানে নগদ অর্থ ছাড়াও দেড় কেজি স্বর্ণালংকার, ৫৪০ গ্রাম সোনার মুদ্রা ও ৯০০ মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
লালু প্রসাদের তিন মেয়ে রাগিনী, চন্দা ও হেমার বাড়িতে গত শুক্রবার ইডি হানা দেয়। তল্লাশি চালানো হয় ছেলে ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতেও। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লালু প্রসাদ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালে রেলের গ্রুপ ‘ডি’ পদে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, সেই চাকরির বিনিময়ে অল্প দামে জমি-জায়গা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই কেলেঙ্কারির তদন্তেই এই অভিযান বলে ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
ওই মামলায় লালু প্রসাদ, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীসহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিলেন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআইয়ের পেশ করা অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে লালুদের ওই সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছিল ১৫ মার্চের মধ্যে। তার মধ্যেই ইডির তল্লাশি হলো। গত মঙ্গলবার অসুস্থ লালু প্রসাদ ও তাঁর মেয়ে মিসা ভারতীকে সিবিআই ৫ ঘণ্টা জেরা করেছিল। সোমবার পাটনায় জেরা করা হয় রাবড়ি দেবীকে।
সিবিআই ও ইডির মতো সংস্থাকে দিয়ে বিরোধী নেতাদের হেনস্তা করা হচ্ছে অভিযোগ করে গত রোববার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন তেজস্বীসহ ৯ জন বিরোধী নেতা-নেত্রী। কেন্দ্রীয় সংস্থার এই অতি সক্রিয়তা প্রসঙ্গে তেজস্বীর মন্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলো এখন বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত শুক্রবার লালু প্রসাদ টুইট করে বলেন, ‘জরুরি অবস্থার কালো দিন আমরা দেখেছি। লড়াইও করেছি। ভিত্তিহীন মামলায় প্রতিহিংসাপরায়ণের উদাহরণও দেখছি, যাতে আজ আমার কন্যা, নাতনিসহ অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূদের হয়রান করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই লড়তে বিজেপি এত নীচে নামতে পারে!’ অপর এক টুইটে লালু লেখেন, ‘ওদের কাছে কোনো দিন মাথা নোয়াইনি। আমার দল ও পরিবারের কেউ তা করবেও না।’