স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকায় কামরুল হাসান ওরফে শাকিলের বাড়িতে ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাতেরা বাড়ির গ্রিল কাটার সময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশী মো. ইউনুসের বাড়ির ভাড়াটিয়া মফিজুলসহ কয়েকজন বাইরে এসে ডাকাতদের ধাওয়া দেন। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে আহত হন মফিজুল। পরে স্থানীয় লোকজন মফিজুলকে উদ্ধার করে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানার পুলিশ।
বাড়ির মালিক কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, রাত তিনটার দিকে একদল ডাকাত জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার দিয়েছিলেন। এ সময় পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মফিজুলসহ কয়েকজন এগিয়ে এলে ডাকাতেরা গুলি ছুড়ে।
নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে হাফিজুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক গুলির আঘাত রয়েছে। আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রাশিদ প্রথম আলোকে বলেন, কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক মারা গেছেন। তবে ঘটনাটি ডাকাতি কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহত যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।