মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

শেরপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধুর কটূক্তিকারী ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদক খুনের আসামি

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ২৮, ২০২৩ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

নেতাকর্মীদের মতামত ছাড়াই হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারীর নেতৃত্বে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে। নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের অনেকেই বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তান বলেও অভিযোগ করেছেন খোদ দলের নেতাকর্মীরা।

আর কমিটি ঘোষণার ওই অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। গুঞ্জন রয়েছে অভিযুক্তরা সবাই তার লোক। এ কারণে তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মীসভা ডেকে শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের ১৩ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মাইকে এই ঘোষণা দেন বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়।

এদিকে, কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পদ পাওয়া নেতারা যেমন অভিনন্দনে ভাসছেন তেমনি দলের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছেন। ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ ও পকেট কমিটি আখ্যায়িত করে ছাত্রলীগকে রক্ষায় অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

দলীয় সূত্র জানায়, তিন-চার মাস আগে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা অভি হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। দলীয় কর্মকাণ্ড গতিশীল করার লক্ষ্যে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই বিশেষ কর্মীসভা ডাকা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু।

পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে গালিব সরকার ও সাধারণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন কবির ড্যানির নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি রবিউল হাসান রুবেল, শাহরিয়ার মাহমুদ সম্রাট, রাফসান আল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক পদে আনোয়ার পারভেজ, রাফিউজ্জামান সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নাজমুল হক, নূর সাকাত জিম, মাহতিম সাকিব, মেজবাহ আল আশরাক, প্রকাশনা সম্পাদক নায়মুল হাসান ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ফারদিন আহম্মেদের নাম ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের নেতারা।

অভিযোগ ওঠে এই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে স্থানীয় ছাত্রলীগের পৌর ও ১০ ইউনিয়নের সভাপতি-সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। এমনকী ওই কর্মীসভায় তাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়নি।

নতুন ঘোষণা করা কমিটির সভাপতি গালিব সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউটের ছাত্র থাকাকালে গালিব বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। পরে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়। এরপর গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাকে। এছাড়া গালিবের বাবা আব্দুল বাসেত স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার ফেসবুকে দেওয়া আপত্তিকর মন্তব্যের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে।

অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ড্যানিও হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। ২০১৯ সালে জেলার শাজাহানপুর উপজেলার রাজারামপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন আলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ড্যানি। এমনকী ওই মামলায় বেশকিছুদিন জেলও খেটেছেন তিনি। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।

এসব অভিযোগে অভিযুক্তদের নেতৃত্বে ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটি মানতে নারাজ নেতাকর্মীরা। সেইসঙ্গে ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা।

জানতে চাইলে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ আহম্মেদ সুমন বলেন, একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, অথচ আমি নিজেই জানি না কর্মীসভার কথা। যে সভা আমাদের আহ্বানে হওয়ার কথা সেখানে আমি নিজেই জানি না। যেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বসবাস, আর সেই উপজেলায় ছাত্রলীগের এমন করুণ পরিস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। এই পকেট কমিটি ছাত্রলীগের জন্য লজ্জার।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শেরপুরের ছাত্রলীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। তাই এই নোংরা রাজনীতি। ওইসব নেতাকর্মী ও তাদের প্রশ্রয়দাতাদের ধিক্কার জানাই।

উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন হাসান, সুঘাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফসহ একাধিক ছাত্রলীগ নেতা ঘোষিত কমিটিকে ভুয়া ও অবৈধ দাবি করেছেন।

মিলন হাসান বলেন, কাউকে না জানিয়ে গোপনে ওই পকেট কমিটি করা হয়। তাছাড়া যারা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন তারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন না বরং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। এরা বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তান। অবিলম্বে ঘোষিত ওই কমিটি বাতিল করে ছাত্রলীগকে রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন দাবি করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গালিব সরকার ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ড্যানি। তারা বলছেন, তাদের নেতৃত্বে গঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকসহ সর্বত্র মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। তারা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় দাবি করেন, শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেন, এটা ছাত্রলীগের কমিটি। সেখানে আমি কেবল আওয়ামী লীগের গার্ডিয়ান হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। আর শেরপুর আমার নিজের এলাকা সেকারণে এখানকার অনেক ছাত্রলীগকর্মীই আমার কাছের। তবে কার কী ব্যাকগ্রাউন্ড তার সবকিছু তো আমার পক্ষে জানা সম্ভব না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদের বিষয়টি যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় তবে আমি ওই কমিটি বাতিলের সুপারিশ করবো।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

বাখমুত পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের

ব্রয়লারের কেজি ২১০ ডিমের হালি ৫০ টাকা

চমেক হাসপাতালের সাড়ে ৩ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

বছরের শুরুতে অর্থনীতির তিন সূচকে সুখবর

আইওসি উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী জোরদার করতে হবে সামুদ্রিক কূটনীতি

আলোচনায় বসতে আরও ৮ দলকে চিঠি দিল ইসি

ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’

ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিসাইডিং অফিসার কী করেন, জানালেন আলমগীর

তাসখন্দ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের চারটি ঔষধ কোম্পানির অংশগ্রহণ

ইইউ প্রতিনিধিদের জানালেন ফখরুল দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই