সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের মুক্তি এবং সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন হয়েছে। রাজবাড়ী বন্ধুসভার উদ্যোগে আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় নাগরিক কমিটির সহসভাপতি আবদুস সামাদ মিয়া, বন্ধুসভার উপদেষ্টা চৌধুরী ইমরুল আহমেদ, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল কুদ্দুস, রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সহসভাপতি সনজিৎ দাস, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র শীল, দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী পত্রিকার সম্পাদক ফকীর জাহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ী রিপোর্টার্স ক্লাবের সহসভাপতি দেবাশিষ বিশ্বাস, রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন বিশ্বাস, কালুখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কাওসার আহমেদ, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম।
কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হলো সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে
সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে লেখার সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম আলোর একটি খবরকে কেন্দ্র করে সাংবাদিককে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে মামলা করা হয়েছে। এটা মূলত ভয় দেখানোর জন্য ও সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করার জন্য করা হয়েছে। এ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
তুলে নেওয়ার ৩৫ ঘণ্টা পর সাংবাদিক শামসুজ্জামান কারাগারে

বক্তারা আরও বলেন, বাজারে প্রতিটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের মধ্যে হাহাকার তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মনের কথা লেখায় প্রথম আলোর ছবিসংবলিত একটি কার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এখানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা হয়নি। সুনির্দিষ্টভাবে এক দিনমজুরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। কথায় কথায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রবণতা বাদ দিতে হবে। এ আইন বাতিল করতে হবে। সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে মুক্তি দিতে হবে।