প্রথম আলোর সাংবাদিক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলেরও দাবি জানান। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। জাবির সাবেক শিক্ষার্থী শিমুল সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশ হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, সাংস্কৃতিক কর্মী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সমাবেশে অংশ নেন। তাঁরা সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চেয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নাসিরউদ্দিন প্রিন্স বলেন, মুক্ত চিন্তা ও স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন হয়েছে। এই অধিকার হরণ করে রাতের আঁধারে শামসুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে; যা অবৈধ বলে মনে করি। অবিলম্বে শামসুজ্জামানের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
আরেক সাবেক শিক্ষার্থী গোলাম মুজতবা বলেন, ‘সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে যে প্রক্রিয়ায় আটক করা হয়েছে, সে প্রক্রিয়া আমাদের কাছে সঠিক মনে হয়নি। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি চাই। তাঁর মুক্তির আগ পর্যন্ত আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’

সমাবেশে উপস্থিত আলতাফ শাহনেওয়াজ বলেন, ‘সংবাদ লেখা ও প্রকাশের জন্য যে প্রক্রিয়ায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও মামলা করা হচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় পর যেভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে—সেটা সঠিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। এ ছাড়া আটক দেখানোর পর শামসুজ্জামানকে নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এখানে এসেছি।’
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সাবেক শিক্ষার্থী ইমন রহমান বলেন, ‘আমরা স্বাধীনভাবে লিখতে চাই, কথা বলতে চাই। সেই পথে বাধা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। যে আইনে শামসুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে শামসুজ্জামানের মুক্তি চাই। আরও বক্তব্য দেন জাবির সাবেক শিক্ষার্থী কল্লোল বণিক ও সুস্মিতা মরিয়মসহ আরও অনেকে।’