সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে লেনদেনে বেশ ভালো গতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে একশ কোটি টাকার বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি লেনদেনেও ভালো গতি রয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।
লেনদেনের সময় ১০ মিনিট না হওয়ার আগেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। এতে দেখতে দেখতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। সূচকের এই ঋণাত্মক প্রবণতা প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত থাকে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪৬ মিনিটে ডিএসইতে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির। আর ১৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসই’র প্রধান সূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪০ কোটি ৩ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।
