সোমবার , ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

নথি উদ্ধারের দাবি রাজউকের, গায়েবের কারণ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ১০, ২০২৩ ৫:১৯ অপরাহ্ণ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গায়েব হওয়া গ্রাহকের ৩০ হাজার নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। তবে কীভাবে গ্রাহকের হাজারো ফাইল গায়েব হলো, কারা গায়েবের সঙ্গে জড়িত বা এ ঘটনায় কেউ সুবিধা নিয়েছে কি না- তা এখনো বের করতে পারেনি। রাজউকের দায়িত্বশীলরা বলছেন, উদ্ধার করা নথি কার কোনটি, তা মেলানো যাচ্ছে না। এখন গ্রাহকের কাছে থাকা কপি ফের সার্ভারে আপলোড দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় কোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে সংস্থাটি থেকে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও নির্মাণের অনুমোদন নিতে হয়। এ কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করতে হয় রাজউকের ওয়েবসাইট। অনলাইনে নিবন্ধন করে ভবনের নকশাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র গ্রাহককে এই ওয়েবসাইটেই আপলোড করতে হয়। পরে যাচাই-বাছাইসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এই ওয়েবসাইটেই ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও ভবনের নকশা আপলোড করে রাজউক। এগুলো ডাউনলোড করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেন গ্রাহক।

২০১৯ সালের মে মাস থেকে এমন আধুনিক পদ্ধতিতেই ঢাকার গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছিল রাজউক। সংস্থাটির ওয়েবসাইটেও সব গ্রাহকের ভবনের তথ্য সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু গত ডিসেম্বর থেকে রাজউকের সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদন সংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গায়েব হয়ে যায়। অর্থাৎ, ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছিলেন, এখন তাদের নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, উদ্ধার করা নথি কার কোনটি, তা মেলানো যাচ্ছে না। সব এলোমেলো হয়ে আছে। এখন গ্রাহকের কাছে থাকা কপি ফের সার্ভারে আপলোড দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

গ্রাহকের অভিযোগ, ৬ ডিসেম্বর হঠাৎ রাজউকের ওয়েবসাইট অকার্যকর হয়ে যায়। কিন্তু এ ঘটনা নিছক কারিগরি ত্রুটি নাকি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত, সে বিষয়ে জানতে রাজউকের কোনো আগ্রহ নেই। রাজউকের এমন নীরব ভূমিকায়ই প্রশ্ন উঠেছে, তারা দুর্নীতি করতে ইচ্ছাকৃতভাবে নথিপত্র গায়েব করেছে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেড) সহযোগিতায় ওয়েবসাইট পরিচালনা করে রাজউক। জানতে চাইলে রাজউকের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট কাজী মোহাম্মদ মাহাবুবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, গ্রাহকদের হারিয়ে যাওয়া নথি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। গ্রাহকদের কার্যক্রম পরিচালনায় তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে কিছু নথি এখনো পাওয়া যায়নি। সেগুলো পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছে যেসব নথি প্রিন্ট করা আছে, সেগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর এলাকার জন্য রাজউকের প্রণয়ন করা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুমোদন দেয় সরকার। ড্যাপের নিয়ম অনুযায়ী, রাজউকের আওতাধীন অধিকাংশ এলাকায় আগের চেয়ে কম উচ্চতার ভবন নির্মাণ করতে হবে জমির মালিকদের। পরে জমির মালিক ও আবাসন ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক সিদ্ধান্ত নেয়, যারা ২৩ আগস্টের আগে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন তারা আগের নিয়মে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন। অর্থাৎ, বর্তমান ড্যাপে উল্লিখিত আয়তনের চেয়ে বেশি আয়তন পাবেন। গত ৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজউক। এর একদিন পরই রাজউকের ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটটি অকার্যকর হয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজউকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ২৩ আগস্টের আগের তারিখে আবেদন দেখানোর জন্য একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজউকের ওয়েবসাইটটি অকার্যকর করতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করলেই তা বেরিয়ে আসবে। এখন পুরো নথিপত্র না পাওয়া গেলে গ্রাহকদের চরম হয়রানির মুখে পড়তে হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু তদন্ত কাজই এগোচ্ছে না।

রাজউক সূত্রে জানা যায়, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় কোনো ভবন নির্মাণ করতে আগে সনাতন পদ্ধতিতে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও নির্মাণের অনুমোদন দিতো রাজউক। ২০১৮ সালে সব অঞ্চল অনলাইন (রাজউকের ওয়েবসাইট) ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র দেওয়া শুরু করে সংস্থাটি। ২০১৯ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ অনুমোদনও অনলাইনে দেওয়ার কাজটি শুরু হয়। এজন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদনের আবেদন করতে হয় গ্রাহককে। ভবনের নকশাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র গ্রাহককে এই ওয়েবসাইটেই আপলোড করতে হয়।

পরে যাচাই-বাছাইসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এই ওয়েবসাইটেই ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও ভবনের নকশা আপলোড করা হয়। এগুলো ডাউনলোড করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেন গ্রাহক। কিন্তু রাজউক এখনো জানাতে পারেনি কেন ওয়েবসাইটটি অকার্যকর হয়েছিল এবং কেন নথিগুলো গায়েব হলো। এর মধ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে আগের ওয়েবসাইটেই নতুন করে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদনের আবেদন নিচ্ছে রাজউক।

২০১৯ সালের মার্চে বনশ্রীতে ছয় শতক আয়তনের একটি প্লটে ভবন নির্মাণের আবেদন করেছিলেন মুরাদ হোসেন। যথাসময়ে আটতলা ভবন নির্মাণে নকশার অনুমোদন এবং নির্মাণকাজও শেষ করেন। এখন বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, তার ভবনের নথি গায়েব হয়ে গেছে। তার কাছে থাকা ভবনের নকশার কপি রাজউকে জমা দিতে হবে।

আতাহার আলী জাগো নিউজকে বলেন, ভবনের নকশা অনুমোদনের সময় পাঁচ লাখ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। এখন আবার কাগজপত্র নিয়ে রাজউকে গেলে হয়রানির শিকার হতে হবে, যা কিছু ঘটে, সব রাজউকের অসৎ কর্মকর্তাদের চালাকিতেই ঘটে। এসব ঘটনা বিশেষ ব্যক্তিদের সুবিধা দিতেই ঘটানো হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় কেউ সুবিধা নিতে পারবে না বলে দাবি করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা। সম্প্রতি তিনি জাগো নিউজকে বলেন, নথি গায়েবের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বুয়েট, সাইবার পুলিশ ও কম্পিউটার কাউন্সিল তদন্ত করছে।

তিনি আরও বলেন, যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে, সেগুলো ফিজিক্যাল কোনো নথি নয়। এগুলো ডিজিটাল নথি। ৩০ হাজার নথির মধ্যে ২২ হাজারের মতো আর্কাইভ করা প্ল্যান। যেগুলো নিষ্পত্তি বা অনুমোদিত হয়েছে তার হার্ডকপি আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। বাকি যে আট হাজার নথি, সেগুলো হলো ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র এবং প্ল্যান অনুমোদনের আবেদন। দুটো আবেদনেরই রিকভারি (উদ্ধার) হয়ে গেছে। এখন আগের মতোই কাজ চলছে। তবে আবেদনের সঙ্গে যে সংযুক্তি কাগজ দিতে হয়, সেগুলো পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ভারতে মুখ্যমন্ত্রীকে সেলিম মাহমুদ বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা

খাগড়াছড়িতে স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

জেসমিনের মৃত্যু: দুইজন বিচারক রেখে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির নির্দেশ

আলাল-ইশরাকের বাসায় পুলিশের তল্লাশি

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আরও ৮৯ জনের অন্তর্ভুক্তি

ভাষাসৈনিকদের নামে সড়ক: নামফলক জরাজীর্ণ, পোস্টারে ঢাকা জীবনী

ক্ষমতায় আসা খুব জরুরি ছিল: শেখ হাসিনা

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর চট্টগ্রামে আ’লীগকে সংগঠিত করেন অধ্যাপক খালেদ

জ্বালানি তেল ও সারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন

স্ত্রীর কবরের পাশেই শায়িত হলেন পরিচালক সোহান