মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ মে দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা। তার সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার শেখ মোসফেকুর রহমান।
প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা জাগো নিউজকে বলেন, এ মামলায় মোট পাঁচজন আসামির মধ্যে তিনজন আছেন কারাগারে। বাকি দুজন পলাতক।কারাগারে থাকা তিন আসামি হলেন- ধোবাউড়া পশ্চিম বালিগাঁও গ্রামের মো. কিতাব আলী ফকির (৮৫), মো. জনাব আলী (৬৮) ও মো. আব্দুল কুদ্দুছ (৬২)।
২০১৯ সালের ১০ মার্চ ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ওইদিন রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, ওই মামলার পাঁচ আসামিই ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন ধোবাউড়ায় আসামিরা অপরাধ সংঘটিত করেন, তখন এটি ছিল হালুয়াঘাট থানার অন্তর্ভুক্ত। পাঁচ আসামির প্রত্যেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে দুজন পলাতক থাকায় তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেনি তদন্ত সংস্থা।