সোমবার , ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

অতিরিক্ত দামে ফ্যান কিনতেও হিমশিম

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ১৭, ২০২৩ ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

দেশব্যাপী এবারের তাপমাত্রা গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ময়মনসিংহেও তার ব্যতিক্রম না। তীব্র গরমে হাসফাঁস করছে মানুষ। অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে ফ্যান কিনতে দোকানে ভিড় করছে মানুষ। তবে দাম বাড়ায় ফ্যান কিনতেও হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর গাঙ্গিনারপার এলাকার সি কে ঘোষ রোড ও রামবাবু রোড এলাকার বেশ কয়েকটি ফ্যান ও এসির শো-রুমে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

রামবাবু রোড এলাকার সরকার ইলেক্ট্রনিক্সের বিক্রেতা মালিক দীপক সরকার বলেন, এই গরমে বেচাকেনা বেড়েছে। তার সঙ্গে দামও বেড়েছে। যে কারণে অনেক ক্রেতা ফ্যান কিনতে এসে বাজেট মেলাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। এমন ক্রেতাও আছে যিনি সিলিং ফ্যান কিনতে এসে কম দামে খাঁচা বা চার্জার ফ্যান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় বিক্রি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

একই রোডের জব্বার আলী কমপ্লেক্সের জোনাকি ইলেকট্রিক প্লাসের বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, সম্প্রতি তাপমাত্রা বাড়ায় ফ্যানের বেচাকেনা বেড়েছে। তবে কমদামি ফ্যানের চাহিদা বেশি।

তিনি বলেন, সিলিং ফ্যান সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা। তবে ভালো ব্র্যান্ডের বেশি দামের ফ্যানও আছে। এসব ফ্যানে বছরের ব্যবধানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দাম বেড়েছে। খাঁচা ফ্যানের দাম ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত। এসব ফ্যানে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে।

ওই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা হয় ইকবাল হোসেন নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বছর একটা চার্জার ফ্যান কিনেছিলাম সাড়ে তিন হাজার টাকায়। ওই ফ্যানের দাম এবছর বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। দিনে দিনে সব কিছুর দাম আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব ভবনের নিচতলার সিঙ্গার ইলেক্ট্রনিক্সের ম্যানেজার শামীম আহমেদ বলেন, গরমের তুলনায় এসি বিক্রি একেবারেই কম। চলতি মাসে মাত্র ৬টি এসি বিক্রি হয়েছে।

নগরীর গাঙ্গিনারপাড়ের সি কে ঘোষ রোড এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের বিক্রেতা আশরাফুজ্জামান লিটন বলেন, জেলা শহরের তুলনায় এসি বিক্রি একেবারে তলানীতে। দোকানে সারাদিনে একজন এসি ক্রেতাও আসেনি। ভাবছিলাম ঈদের আগে বেচাকেনা বাড়বে। তবে সে আশা পূরণ হবে না।

একই রোডের দয়াল রেডিও সার্ভিসের বিক্রেতা রিংকু বলেন, গরমে ফ্যান বিক্রি বেড়েছে। তবে আশানুরূপ বিক্রি নেই। কারণ দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা না কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন বা কমদামি ফ্যান কিনছেন।

ওই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা হয় শম্ভুগঞ্জ এলাকার সোহেল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, শহরে আসছিলাম ভালো মানের একটা সিলিং ফ্যান কেনার জন্য। তবে দাম বেশি হওয়ায় ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে টেবিল ফ্যান কিনেছি।

একই রোডের আসগর ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক আসগর বলেন, মানুষের হাতে টাকা নেই। গরমে যেমন বেচাকেনা হবে ভাবছিলাম তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তারপরেও বেচাকেনা মোটামুটি বেড়েছে। সকাল থেকে ৬-৭টা ফ্যান বিক্রি করেছি।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত