আজ থেকে ছুটি হওয়ায় প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন লোকজন। ঈদযাত্রায় বাস ও লঞ্চের পাশাপাশি কমলাপুর রেলস্টেশনেও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। একই সঙ্গে স্টেশনে চলছে টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে তিন স্তরের কড়া চেকিং।
বুধবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের একেবারে বাইরে থেকেই যাত্রীদের এনআইডি এবং টিকিটের সঙ্গে মিলিয়ে তারপর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল। আগে যেখানে প্ল্যাটফর্মে টিকিট চেক করা হতো, সেখানে এখন যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগেই টিকিট নিশ্চিত করতে হচ্ছে।
এবারই প্রথম ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ৭ এপ্রিল থেকে অনলাইনে শুরু হয় নিজের এনআইডির (জাতীয় পরিচয়পত্র) মাধ্যমে ভ্রমণেচ্ছুদের টিকিট প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় টিকিটের সঙ্গে এনআইডি মিলিয়ে তারপরেই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।
এদিন সকালে দিনাজপুর অভিমুখী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ে সকাল ৭টায়, উত্তরবঙ্গগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল সাড়ে ৭টায়, সেটি ৭টা ৪০ মিনিটে স্টেশন ত্যাগ করে। চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন ৭টা ৪৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ৭টা ৫৫ মিনিটে, একই গন্ত্যব্যে সকাল ৮টায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং সকাল ৮:১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৮টা ৩০ মিনিটে সেটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায়। এছাড়া ঈদযাত্রায় সর্বমোট ৫৫টি ট্রেন ছেড়ে যাবার কথা রয়েছে। যাতে অন্তত ৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করবেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মো. আমিনুল হক বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। সকাল থেকে সবগুলো ট্রেন সময় মতো ছেড়ে গেছে।
