ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা স্বাচ্ছন্দ্য ও নির্বিঘ্ন করতে এবার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে ব্যতিক্রমী চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। অন্যবার যেখানে রেলস্টেশনে পা রাখার জায়গা পাওয়া যেত না এবার সেখানে কোনো ভিড় কিংবা ঠেলাঠেলির অবস্থা তৈরি হয়নি।
গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেক জয়দেবপুর স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেন উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় পর্যন্ত চলাচল করছে। এছাড়া ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অন্য ট্রেনগুলোও জয়দেবপুর জংশনে স্টপেজ দিচ্ছে।
এদিকে, জয়দেবপুর স্টেশনে প্রবেশে এবার বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে বা দুই বগির মাঝখানে কোথাও কোনো যাত্রীকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। বিপুল সংখ্যক রেলওয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা পুরো স্টেশনের চারপাশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন।
জয়দেবপুর স্টেশনের পূর্বপাশে স্টেশনে প্রবেশ গেটে বাঁশের খুঁটি স্থাপন করে টিকিটধারী যাত্রীদের চেক করে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীই স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না। এছাড়া স্টেশনের পশ্চিমপাশের গেট সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রেললাইনে নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন যেন কোনো যাত্রী টিকিট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারেন।
দিনাজপুরগামী যাত্রী আশরাফুল ইসলাম জানান, স্টেশনের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা দেখে তিনি খুব খুশি। স্টেশনে কোনো হকার, ছিন্নমূল মানুষ নেই। সাজানো গোছানো পরিপাটি একটি স্টেশন। যা সচরাচর দেখা যায় না। ঈদে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত প্রশংসার দাবিদার।
রাজশাহীগামী যাত্রী ইকরামুল হক বলেন, স্টেশনে টিকিটধারী যাত্রী ছাড়া অন্য কোনো লোক না থাকায় খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। অযথা কোনো ঠেলাঠেলি ও ভিড় নেই। স্টেশনের ভেতর ও বাইরে প্রচুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখন চোর ও ছিনতাইকারীদেরও ভয় নেই।
জয়দেবপুর স্টেশনের মাস্টার মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের চাহিদা ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রী যেন স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারে। আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করছি।
জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে। যে কারণে এবার কোনো যাত্রীকে ট্রেনের ছাদে বা ইঞ্জিনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের মাইকিং করে বিষয়টি জানানো হচ্ছে।