গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। খেলাপি ঋণের কারণে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র আর সঠিক কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় দুই স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবুল হোসেন ও অলিউর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুরে কোরিয়ান মালিকানাধীন একটি ফ্যাক্টরি ও হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান রক্ষার জন্য আমার নিজের সম্পদ ব্যাংকে মরগেজ দিয়েছি। ওই কোম্পানির কোনো শেয়ার নেই আমার। শুধু মানবিক কারণে শ্রমিকদের রক্ষা করতে ওই কোম্পানিকে সহযোগিতা করেছি। নিজের ১২ বিঘা জমি দিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থে কারখানাটিকে টিকিয়ে রেখেছি।
করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ওই কারখানাটি ব্যাংকে পেমেন্ট দিতে পারেনি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংক যে পাওনা ছিল সেটি গত ১১ ও ১৮ এপ্রিল ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করে দিয়েছে। সে স্টেটমেন্ট আইনজীবীর মাধ্যমে ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কর্মকর্তারা সিআইবির নাম দিয়ে আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেছে। কোন অদৃশ্য চাপে সরে গেছে তা আমি জানি না। এ বিষয়ে আমি আপিল করবো। প্রয়োজনে আমি হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে যাবো। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমি চাই নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে কাজটা করুক। আমি এটা সর্বশেষ পর্যন্ত দেখবো। সত্যের জয়ের জন্য আমি লড়াই করে যাবো। আমি রাষ্ট্র, সরকার, বিচার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন সবার কাছে নিরপেক্ষতা কামনা করছি।
নির্বাচনে ৫৭ ওয়ার্ডে ৪৭৮টি কেন্দ্র ও তিন হাজার ৪৯১টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ছয় হাজার ৯৮২ জন পোলিং অফিসার নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন।
তফসিল অনুযায়ী ৮ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ, ৯ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ২৫ মে।