মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউকের প্লট নেওয়ার অভিযোগে ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও রিভিশন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে আর বাধা নেই।
রোববার (৩০ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। রিভিশনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাব্বির হামজা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ভাই ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্লট জালিয়াতির মামলা বাতিল চেয়ে করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আগের দেওয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে আর বাধা নেই।
ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় তিনি মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদন আজ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলমান থাকবে।
আমিন উদ্দিন মানিক আরও জানান, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন রাজউকে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে ঢাকার বনানী আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠার একটি সরকারি প্লট গ্রহণ করেন হাফিজ ইব্রাহিম। এতে তিনি অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা হলফনামা দিয়ে প্লট নেওয়ার কারণে দুদক ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। সেই অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল রুল জারি করেছিলেন। রোববার ওই রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।