শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রমজীবী মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান ও চিকিৎসার নিশ্চয়তার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটি বলছে, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় মে দিবস। মেহনতি জনতার আত্মোৎসর্গের পথ বেয়ে আবারও ফিরে এসেছে মে দিবস। মহান মে দিবসে নতুন করে শপথ নিয়ে শ্রমিকশ্রেণিকে সবধরনের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। মে দিবসের প্রেরণায় শোষণমুক্তির সংগ্রাম এগিয়ে নিতে হবে।
মহান মে দিবস উপলক্ষে রোববার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।
নেতৃদ্বয় বলেন, ১৮৮৬ সালের এই দিনে শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক আট ঘণ্টা শ্রমসময় নির্ধারণের দাবিতে শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করছিল তখন তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল। রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল হে মার্কেট। তাতেও শ্রমিকদের আন্দোলন থেমে যায়নি, বরং তা আরও শক্তিশালী হয়েছিল। শেষপর্যন্ত আট ঘণ্টা শ্রমসময়ের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এ আত্মত্যাগের ফলে যে গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল, তা অনাদিকাল ধরে বিশ্বের সব শ্রমিকের কাছে স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ শ্রমজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে, ক্ষুধার যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার নিরন্ন মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। বরাদ্দের সামান্য লুটপাট হয়ে যাচ্ছে।
দেশবাসীকে মে দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও বলেন, মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণি ও মেহনতি মানুষের নিজস্ব দিন। এ দিন শ্রমিক শ্রেণির সংগ্রাম, বিজয় আর উৎসবের দিন। আন্তর্জাতিক সংহতির এ দিনে শ্রমিক শ্রেণিকে শোষণমুক্তির সংগ্রামে নতুন করে শপথ নিতে হবে।