সোমবার , ১ মে ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

রাজবাড়ীর স্কুলশিক্ষক মিজানুর হত্যায় সাত-আটজন অংশ নেয়, সবাই ছিল মুখোশ পরা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মে ১, ২০২৩ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় স্কুলশিক্ষক ও সার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে (৪৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাত থেকে আটজন লোক অংশ নেয়। হামলাকারীরা সবাই মুখোশ পরিহিত ছিল। মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে তারা। তাঁর পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁর বাঁ কানের নিচে গুলি করা হয়। এ সময় মিজানুর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়। উপজেলার কলিমোহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা বাজারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে এই বাজার থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে মিজানুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি পাংশা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি মিজানুর রহমান হোসেনডাঙ্গা বাজারে সার, কীটনাশক ও ভুসি মালের ব্যবসা করতেন।

পাংশায় স্কুলের গ্রন্থাগারিককে গুলি করে হত্যা

হত্যা

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, হোসেনডাঙ্গা বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মিজানুর রহমানের দোকান থেকে হালখাতার জিলাপি বের করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের স্থানটিতে রক্ত জমাট বাঁধা। চারপাশে ইট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এগোলেই বসাকুষ্টিয়া গ্রামে মিজানুর রহমানের বাড়ি। বেলা ১১টার দিকে সেখান গিয়ে দেখা যায়, মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা বেগম বাড়িতে বিলাপ করে চলেছেন। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

নিহত মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা বেগমকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন  আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা। আজ দুপুরে
নিহত মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা বেগমকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা। আজ দুপুরেছবি: প্রথম আলো

শাহানারা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী প্রতিবাদী ছিলেন। তাঁর তেমন কোনো শত্রু ছিল না। দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে আমাদের সংসার। তবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশের জমি কেনা নিয়ে বিরোধ ছিল। প্রতিবেশী ব্যবসায়ী অসিত বিশ্বাসের সঙ্গে এই বিরোধ। গতকালও এ নিয়ে কথা হয়। আমি তাঁকে জমি কিনতে নিষেধ করতাম। রোববার বেলা তিনটার দিকে ছোট ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। দোকানে তাঁর হালখাতা ছিল। রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’

হোসেনডাঙ্গা গ্রামে অসিত বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী কাঞ্চনী বিশ্বাস বলেন, ‘রাতে আমার স্বামী বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত একটার দিকে পুলিশ এসে ডেকে তোলে। বাইরে স্যার কথা বলবেন বলে নিয়ে যান। আমিও পেছন পেছন যাই। আমাকে যেতে নিষেধ করা হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে গাড়িতে তোলে। আমাকে জানায়, স্বামীকে সকালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি সকালে বাড়িতে ফেরেননি।’

নিহত স্কুলশিক্ষকের শ্যালক পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহীদুল ইসলাম মারুফ বলেন, ‘আমার দুলাভাই বাড়ি ফেরার সময় সঙ্গে দুজন ছিল। পুলিশ ওই দুজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’

রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত