‘ভোট চুরির প্রকল্প’ এখন কূটনৈতিকে গিয়ে ঠেকেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খুসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘দিপাক্ষিক বৈঠকের নামে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যে আলাপ হয়েছে তা ছিল ব্যক্তিগত আলাপ। এগুলো কোনো আনুষ্ঠানিক আলাপ না। এটাকে আবার সেখানকার হাইকমিশনারকে দিয়ে স্টেটমেন্ট করিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক শিষ্টাচার আছে, সেটাকেও কি ধ্বংস করে দেবেন! ভোট চুরির প্রকল্প আর কত দিকে নিয়ে যাবেন? ভোট চুরির প্রকল্পের বিস্তৃতি আজকে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে; কূটনৈতিকে গিয়েও পৌঁছেছে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর অষ্টম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করে সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরাম।
সরকারের ‘ভোট চুরির প্রকল্পের কাজ’ প্রতিদিন চলছে উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, ‘এই যে আমাদের নেতাদের বেইলিং বাতিল করছে, সবাইকে জেলে ঢুকাচ্ছে এটাও কিন্তু ভোট চুরিরই একটা প্রকল্পের অংশ। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না, সেটাও ভোট চুরির অংশ। তারেক রহমান ও তার পরিবারের নামে মামলা এবং দেশে আসতে না দেওয়া- এটাও ভোট চুরি প্রকল্পের একটা অংশ। ১৭ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে- তাও একটি ভোট চুরি প্রকল্পের অংশ।’
সংবিধান থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল না করলে নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ভোট চুরির মূল অংশ। এই সংশোধনীর মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীকে রেখে, অর্থাৎ ভোট চুরির মূল প্রকল্পকে রেখে আগামী নির্বাচন করতে দেওয়া যাবে না।’
যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।