চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টির কারণে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের ইনিংস পুরোটাই খেলতে পেরেছিল। যাতে হতাশ করেন ব্যাটাররা।
নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম ছাড়া সেই অর্থে কেউই ভালো করতে পারেননি। ফলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানের গড়পড়তা স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ, সেটাও আবার অনেক কষ্টেসৃষ্টে। ছয় নম্বরে নেমে মুশফিক ৬১ রান না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো।
ম্যাচে ফল হয়নি। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে হতাশা রয়েই গেছে। বড় কোনো জুটি হয়নি। ব্যাটাররা সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন।
৪৪ রানে আউট হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন, পিচটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল। কিন্তু প্রত্যাশামতো স্কোর করতে পারেননি তারা।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘সাধারণত এখানে ২৯০-৩০০ এমন রান হয়। আমরা যখন খেলাটা শুরু করেছি, তখন এটা মাথায় নিয়ে শুরু করিনি। আমরা উইকেটটা এক্সেস করার চেষ্টা করেছি। ওইভাবে খেলার চিন্তা করেছি। যদিও আমাদের বড় কোনো জুটি হয়নি। যদি হতো তাহলে আমরা ওইরকম স্কোর করতে পারতাম।’
বাংলাদেশ ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা ছিল মুশফিকুর রহিম আর মেহেদি হাসান মিরাজের ৬৫ রানের। এছাড়া শান্ত আর তৌহিদ হৃদয়ের জুটি থেকে আসে ৫০।
দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) আর লিটন দাস (০) সুবিধা করতে পারেননি। তিন নম্বরে শান্ত রান পেলেও সাকিব আল হাসান (২০), তাওহিদ হৃদয়রা (২৭) আউট হয়েছেন সেট হয়ে।
টপঅর্ডার ব্যাটারদের আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেলা দরকার ছিল বলে মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আজকের ম্যাচের কথা চিন্তা করি; ছোট ছোট জুটির পর আমরা যে উইকেটগুলো হারিয়েছি, এটা যদি না হতো নাহলে এরকম পরিস্থিতি হতো না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে দলটাই ছিল, উপরের ব্যাটাররা যদি আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতো, তাহলে মনে হয় এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতো না।’