চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হত্যাচেষ্টার মামলায় ছেলে-ভাতিজাসহ উপজেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সিরাজুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন- সিরাজুল ইসলামের ছেলে রেজাউল বাহার রাজা, ভাতিজা এরফানুল হক ইমন ও চুনতি ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জানে আলম।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খাঁনের আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিরা অভিযোগপত্র আসার আগপর্যন্ত জামিনে ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামি সিরাজুল ইসলামসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুদিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি চুনতি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ তার কর্মী-সমর্থকের ওপর সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনসহ ১০/১২ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। এ ঘটনার সিরাজুল ইসলামসহ ৩২ জনকে আসামি করে লোহাগাড়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী তানজিনা সোলতানা জুলি।
মামলার তদন্ত শেষে গত ১০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সিরাজুল ইসলাম, তার ছেলে রেজাউল বাহার রাজা, ভাতিজা এরফানুল হক ইমন ও চুনতি ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জানে আলম জানুসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।