অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। শনিবার (১৩ মে) দুপুরে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর দাবি করছে, সেন্টমার্টিনে ১৪৭ কিলোমিটার বেগে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল। তাই ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ১০ নম্বর যে বিপৎসংকেত দেওয়া হয়েছিল তা সঙ্গতিপূর্ণ ও যৌক্তিক।
রোববার (১৪ মে) রাতে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান।
আব্দুর রহমান খান বলেন, যখন কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তখন বাতাসের গতিবেগ থাকে ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটারের মধ্যে। আজ দুপুর আড়াইটার সময় সেন্টমার্টিনে ১৪৭ কিলোমিটার বেগে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল। তাই ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ১০ নম্বর যে মহা বিপৎসংকেত ছিল তা সঙ্গতিপূর্ণ এবং যৌক্তিক।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে যখন ঝড় সৃষ্টি হয় তখন তার ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী সংকেত জারি করা হয়। মোখা ছিল অতি প্রবল একটি ঘূর্ণিঝড়টি। সেজন্য ১০ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়া হয়।
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৮ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।