জনগণের জন্য আওয়ামী লীগ কী অবদান রেখেছে- এই বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারলে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, আমরা এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তবে আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত। কেননা আমাদের শক্তি জনগণ। এই জনগণ আমাদের পাশে আছে।
শনিবার (২৭ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের দোহাই দিয়ে রাজপথ গরম করতে চায়। কিন্তু তারা জানে না যে, সবার আগে তাদের দলের সংস্কার না হলে কোনো দিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মুখ দেখবে না।
তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ বিকশিত হতে চায়। এজন্য আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ইতিবাচক অবদান রাখতে হবে। যারা অবদান রাখবেন তারাই আগামীতে নেতৃত্বে আসবেন। আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো দেশ ও জাতির কল্যাণ ও প্রগতি। আমাদের নেতা একজনই, তিনি শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি লালদীঘির জনসভা সফল করতে মিছিল ও ব্যানার-ফেস্টুন সহকারে যোগদানের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটকে নির্দেশনা দেন।
ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী।
এতে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক কমিশনার জহির আহমেদ। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ এমপি, মাহবুবুল হক মিয়া, সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী, এম এ ছালাউদ্দিন প্রমুখ।
আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী, মো. ছানাউল্লাহ, আব্দুল মালেক, আবু তাহের, রানা বিশ্বাস, ইউনিট আওয়ামী লীগের মাহবুবুল আলম জনি, আবু নাঈম, সালেহ আহমদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
সভামঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, উপদেষ্টা আলহাজ সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের, হাজি মো. হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বখতেয়ার উদ্দীন খান প্রমুখ।
ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদকে সভাপতি ও মুজিবুল হক পেয়ারুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।