ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন মাসের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার বদরোজ্জা বাদল, তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নিতায় রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকে মাথার ব্যান্ডেজ নিয়েই তিনি উচ্চ আদালতে আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে উপস্থিত হন। গ্রেফতার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় তিনি হাসপাতাল থেকে সরাসরি হাইকোর্টে এসেছেন বলেও জানান।
জামিন শুনানি শেষ নিপুণ আবারও হাসপাতালে যাবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
গত শনিবার (২৭ মে) কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির ১০৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ‘অনেক’ আসামি রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি এসএম সুমন। মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম, চুরি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন মাস্টার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর শাহনেওয়াজ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোকাররম হোসেন সাজ্জাদসহ ১০৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ মে) জিনজিরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশ করে ঢাকা জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটের আঘাতে নিপুণ রায়ের মাথা ফেটে যায়।